সুখে-দুঃখে হুগলির মানুষের পাশে থাকবেন তিনি, কথা দিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো এদিন প্রথা ভাঙলেন হুগলির সাংসদ। প্রতি বছর রথের দিন পুরীর পৌঁছান জগন্নাথ ভক্ত রচনা। তবে এবার তিনি রথের রশি টানতে পৌঁছেছিলেন হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। আরও পড়ুন-‘পুরী💃 নয়,মাহেশের রথ পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়’, দিদির মঞ্চে দাবি বিজয়ীনির, বইল কটাক্ষের বন্যা! সত্যিটা কী?
রব🌳িবার রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়াতে শুরু হয় প্রভু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। মহা ধুমধামের সঙ্গে দেশ-সহ রাজ্যের সর্বত্র পালিত হচ্ছে হিন্দুদের পবিত্র রথযা🃏ত্রা। হুগলি জেলার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী রথযাত্রা গুপ্তিপাড়ার রথ। সেখানে রচনার হাতে পড়ল রথের রশিতে টান। হুগলির সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অসীমা পাত্র ও সদর মহকুমাশাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা।
বৃন্দাবন জিউ মঠ থেকে জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা সুসজ্জিত রথে ওঠেন। গুপ্তিপাড়ার রথ উচ্চতায় প্রায় ৩৬ ফুট, দৈঘ্য ও প্রস্তে ৩৪ ফুট। আগে এই রথের ছিল ১২টি চূড়া, এখন অবশ্য ৯টি চূড়া। মঙꦉ্গল আরতির পুজোপাঠ, নাম-সংকীর্তনের শেষে টান পড়ে ꩵরথের দড়িতে। এ প্রসঙ্গে রচনা বলেন, ‘আগে পুরীতে থাকতাম রথের সময়ে। তবে মাহেশ, গুপ্তিপাড়া রথযাত্রার কথা শুনেছি। এগুলো এত বিখ্যাত। আমি আমার জায়গায় এসেছি। এত গরমের মধ্যে সবাই এসেছে। ঠাকুরের আর্শীবাদেই আমি জিতেছি। এই প্রথম আমি গুপ্তিপাড়ার রথে এসেছি। এখানে আসতে পেরে খুব খুশি।’ রচনা জানাতে ভুললেন না, ‘এখানকার মানুষ আমায় জিতিয়েছেন। এটা আমার জেলা রথ। আমি ওদের সঙ্গে রয়েছি।’ তবে রথের দিন রচনা হুগলিতে থাকলেও উলটো রথের দিন পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে যাবেন।
বাংলার মাহেশের রথের কথা সকলেই জানেন, তবে হুগলির বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার রথ ৩🌱০০ বছরেরও বেশি পুরোনো, এটি বৃন্দবন জিউ-র রথ নামেও পরিচিত।
গুপ্তিপাড়ার পূর্বপ্রান্তে গঙ্গার ধারে বিরাজ𒈔মান বৃন্দাবনচন্দ্র মঠ ও মন্দির। সেখানে পাশাপাশি অবস্থিত চারটি মন্দির। বৃন্দাবনচন্দ্র, চৈতন্যদেব, রামচন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দির। সেগুলি মিলেই তৈরি হয়েছে গুপ্তিপাড়ার মঠ। বৃন্দাবন জিউর মন্দিরেই থাকেন জগন্নাথ। শোনা যায়, ১৭৪০ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে জগন্নাথের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বামী মধুসূদনানন্দ। মতান্তরে প্রীতম্বারানন্দ।
এখানকার রথের বিশেষত্ব হল উল্টোরথের দিন ভান্ডার লুট। জগন্নাথের মাসির বাড়ির🌠 মন্দিরের অন্দরে মালাসায় সাজানো থাকে নানান পদ। সেই প্রসাদ লুটে নিতে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়।𝕴