আরজি কর নিয়ে সমাজের নানা প্রান্ত থেকে নানা ধরনের প্রতিবাদ আসছে সামনে। অনেকেই রাস্তায় নেমেছেন মোমবাতি-প্ল্যাকার্ড হাতে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় হরেকরকমভাবে প্রতিবাদ করছেন নেটিজেনরা। সমাজসংস্কারের পাঠও খুলেছেন কেউ কেউ। সেরকমই একট💯ি পোস্ট শেয়ার করে নেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। যা এক মায়ের লেখা, নাম অদিতি রায়, যার ছেলের বয়স ১০ বছর।
সুদীপ্তা সেই পোস্টটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রতিটা কথার সঙ্গে সহমত তিনি। তাই পোস্টের লেখিকাকে ব্যক্তিগতভাবে না চিনলেও, তা নিজের প্রোফাইলের ওয়ালে দিলেন। সেই পোস্টে লেখা বছর পাঁচ বয়স হলেই ছেলের মায়েদের নিজের সন্তানকে যেভাবে মানুষ করতে হবে। তবে দেখা গেল,♊ অনেকেই ঠিক একমত হতে পারেননি এই পোস্টের সঙ্গে। এমনকী, ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়ের তফাত করা হচ্ছে এভাবে বলেও উঠেছে অভিযোগ।
মোট ৮টি পোস্ট রয়েছে সেখানে। যেমন, ‘ছেলেকে বাড়িতে জামা পরানো অভ্যাস করুন। তা সে যতই গরম লাগুক খালি গায়ে ঘুরতে দেবেন না’। অথবা, ‘যখন-তখন প্যান্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে প্রাইভেট পার্ট নিয়ে খেলতে দেবেন না। চুলকানি অস্বস্তি কিছু হলেཧ সেটা বাথরুমে গিয়ে চেক করতে বলুন। প্রয়োজনে আপনিও যান সাথে।’
এমনকী, মায়েদের বাড়িতে সবসময় নাইটি না পরে থেকে, শর্টস পরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যাতে বাচ্চাটি বড় হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে অন্য কোনও শর্টস পরা🐬 মহিলাকে টোন না কাটে। সঙ্গে মেয়েদের পিরিয়ডস এর ব্যাপারটা ছেলে সন্তানকে শেখানোর কথা বলা হয়েছে, কেন অন্তর্বাস পরা হয়, ব্রা-এর ফিতে বেরিয়ে থাকলে, যেন সে ঠিক করে দেয়।
সঙ্গে অবশ্যই ছেলেরা কাঁদলে তাঁদের কাঁদতে দিতে। ‘মেয়েꦅদের মতো’ বলে থামিয়ে না দিতে।
পোস্টে নেট-নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া:
একজন লিখলেন, ‘মাকে বাড়িতে শর্টস পরতেই হবে! কী আজব দাবি। আমি শর্টস পরে কমফোর্টেবল না হলেও পরব’! দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘একটা ছেলের কারণে বা কছꦜু ছেলেরে কারণে, সব ছেলেকে খারাপ বলবেন না। এটুকু বাচ্চার মাথায় মেয়ে-ছেলের তফাত না ঢোকানোই ভালো’।
যদিও অনেকেই আবার সহমত পোষণ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘আমার ছেলের বয়স ছয়। ওকে আমরা এখন থেকেই ধীরে ধীরে শেখাচ্ছি’। দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘খুব বাস🧔্তববাদী কথা। ভীষণ জরুরি।’ তৃতীয়জনের মন্ত🌠ব্য, ‘এরকম মা-রাই পাড়বে ছেলে সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে মানুষ করতে।’