বরাবরই স্পষ্টবাদী বলে টোটা রায়চৌধুরীর নাম রয়েছে টলিউডে। শান্ত,মার্জিত ব্যবহারের পাশাপাশি সোজা কথা সোজাভাবে বলতে কখনওই হোঁচট খাননি তিনি। যদিও অহেতুক বিতর্ক থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সৃজিত মুখোপধ্যায়য় পরিচালিত 'ফেলুদা'-র ভূমিকায় টোটার অভিনয় অকুন্𒅌ঠ তারিফ কুড়িয়েছে দর্শকদের তরফে। এবার টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ থেকে শুরু করে পক্ষপাতিত্ব ও নিজের কেরিয়ার নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
কোনও রাখঢাক না রেখে স্পষ্ট,কাটা কাটা ভাষায় তিনি জানান যে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্বমহিমায় বিচরণ করে আসছে নেপোটিজম। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বহু উঠতি অভিনেতা এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাদেরও রীতিমতো অস্তিত্ব রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সৌজন্যে এই নেপোটিজম। অভিনেতার কথায়,' নিজের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ থাকার দরুণ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায়শই কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। এমন অনেকবারই হয়েছে সব পাকা কথা হয়ে যাওয়ার পরেও একেবারে শেষমুহূর্তে কোনও ছবি থেকে বাদ পড়েছি আমি এবং স্বভাবতই আমার জায়গায় এসেছেন অন্য অভিনেতা। এর একমাত্র কারণ হয় সেই ছবির নায়কের আমাকে নিয়ে হীনমন্যতা বোধ নয়তো ছবির প্রযোজকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আমার বদলি-অভিনেতা। আবার এমনও দেখেছি ছবির নায়িকার তদ্বিরে তাঁর পছন্দসই নায়ককে নিয়ে আসা হলো আমার জায়গা⛎য়। ফলে বেমালুমভাবে সেই ছবি থেকে বাদ পড়লাম আমি।' এখানেই না থেমে টোটা আরও বলেন,' ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত 'চোখের বালি' ছবিতে আমার অভিনয়ের প্রশংসাকরেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, নাসিরুদ্দিন শাহ-র মতো কিংবদন্তি অভিনেতারাও। তারপরেও এই ছবি রিলিজের পর আমার হাতে কোনোকাজ ছিল না। ছয় মাস বাড়িতে বসে ছিলাম। অথচ সেই ছবিতে কাজ করা আমার সহ অভিনেতাদের কাছে আসছে ভূরি ভূরি ছবির প্রস্তাব। খুব অন্যায় মনে হয়েছিল গোটা বিষয়টা। আবার এই অভিজ্ঞতাও হয়েছে যে ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছি অথচ ছবির পোস্টারে আমি নেই। জানতে পেরেছিলাম নায়কের নির্দেশ মেনেই হয়েছিল ওই কাজ।'সুজয় ঘোষ থেকে শুরু করে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো বিখ্যাত পরিচালকের ছবিতে ক♎াজ করা এই নায়ক মনে করেন প্রতিটি অভিনেতারই উচিত নিজের আঞ্চলিক ভাষার ছবির গন্ডি ছাড়িয়ে আরও বড় বৃত্তে পা রাখা। তবেই একজন অভিনেতা হিসেবে পরিপূর্নতা লাভ করা সম্ভব। টোটা নিজেও বাংলা ছবি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে দক্ষিণী ছবি ও বলিউডে কাজ করেছেন।
তবে বক্তব্য শেষে করোনার বিষয়ে সাবধান বার্তা দিতে ভোলেননি এই অভিনেতা। জনসাধারণের উদ্দেশে তাঁর আর্জি ಞযত দ্রুত সম্ভব সবাই যেন করোনার টিকাকরণ করিয়ে ফেলেন।