শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তিনিও হাজির ছিলেন এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। যোগ দেন রাজ্🦩যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। দেশনায়ককে শ্রদ্ধা এদিন মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন বর্ষীয়ান শিল্পী ঊষ উথুপ, বলিউডের খ্যতনামা অহমিয়া শিল্পী পাপান এবং বাংলা ছেলে সৌম্যজিৎ দাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পাপনের গলায় শোনা গেল, ‘সুভাষজী, সুভাষজী ও জানে হিন্দ আগায়ে…’। অন্যদিকে ইংরাজি ও বাংলার মিশেলে ঊ𓄧ষা উথুপ গাইলেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে..’।
ভিক্টোরিয়ার দেশের শাসনের বিরুদ্ধে নেতাজির লড়াইয়ের আখ্যান এদিন꧅ প্রোজেকশন ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফুটে উঠে ভিক্টোরিয়ার দেওয়ালে। ব্যাকগ্রাউন্ডে ধ্বনিত হল সব্যসাচী চক্রবর্তীর ব্যারিটোন কন্ঠ।
এদিনের অুষ্ঠানে সৌম্যজিৎ দাস দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা ‘ধনধান্যে পুষ্প ভরা’ গানটি গেয়ে উপস্থিত দর্শকের মন জিতে নেন। এদিন কলকাতার একাধিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও দেশ নায়ককে শ্র🦹দ্ধার্ঘ জানালেন মঞ্চে। কদম কদম বাড়ায়ে যা'ꦏ ও আমার দেশের মাটি'-র মতো দেশাত্মবোধক গান ধ্বনিত হল ভিক্টোরিয়ায়। দর্শকাসনের প্রথম সারিতে বসে তা চাক্ষুস করলেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ দেশের প্রথম সারির নেতারা।
নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্রের তরফে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে উদযাপন করা হচ্ছে, তবে রাজ্য সরকার এইদিন✱টা ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালন করছে। পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে অস্বীকার করেন প্রতিবাদী মমতা। তাঁর নাম ঘোষণার পর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হলে মনোক্ষুন্ন হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রোগ্রাম নয়’।