সিপিএম নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তীর জন্মদিন ছিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এ দিন সাম🦂াজিক মাধ্য়মে একটি পোস্ট করেন তাঁর মেয়ে তথা অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। বাবাকে জন্মদিনে খোলা চিঠি নায়িকার। মুখ খুললেন একাধিক বিষয় নিয়ে।
এ দিন বাবা শ্যামল চক্রবর্তীর সঙ্গে একগুচ্ছ পুরনো ছবি শেয়ার করেন পর্দার ‘জুন আ🅷ন্টি’। লিখেছেন, ‘আজ ২২শে ফেব্রুয়ারি। বাবার জন্মদিন। অনেক দিন ধরে কয়েকটা কথা বলব ভাবছিলাম আজ বাবার জন্মদিন উপলক্ষে বলেই দিই। বামপন্থী পরিবারে বড় হওয়ার সুবাদে এবং প্রায় সাত বছর বামপন্থী রাজনীতি ও লিঙ্গরাজনীতি নিয়ে গবেষণা করার সুবাদে( এম ফিল ও পি এইচডি করার সূত্রে) আমি এটাই বুঝেছি ও শিখেছি যে মেয়েদের পোশাক নিয়ে অযথা খাপ পঞ্চায়েত খোলা আর যাই হোক বাম রাজনৈতিক ঘরানার সংস্কৃতির মধ্যে পড়েনা।’
জন্মদিনে গোয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন জুন আন্টি ওরফে ঊষসী চক্রবর্তী। ঠোঁটে সিগারেট, বিকিনি পরে ফোটো তুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সেই ছবি। এরপরইꦆ নানা কটাক্ষের মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী।
সেই প্রসঙ্গে পরোক্ষভাবে ঊষসীর মন্তব্য, ‘আমার বাবা কোনওদিন আমার জীবনকে কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ♕চেষ্টা করেননি এবং আমি কী পোশাক পরব এই নিয়ে কোনও মতামতও দেন নি। তাই বামপন্থী পরিবারের মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরতে পারবেন না বা সমুদ্র স্নানে গিয়ে স🦹াঁতারেব পোশাক পরতে পারবেন না এ-হেন হাসির কথা আমার বাবা তো দূরস্থান কোন আন্তর্জাতিক বা জাতীয় বামপন্থার বইতেও আমি কস্মিনকালে শুনিনি বা পড়িনি।'
তিনি আরও লেখেন, ‘বামপন্থা সমাজতন্ত্রের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের দাবী আদায়ের কথা বলে, লিঙ্গ সাম্যের কথা বলে এবং সমাজের রক্তচক্ষু বা অঙ্গুলি হেলনকে তোয়াক্কা না করে মেয়েদের নিজের শর্তে বেঁচে থাকার কথা বলে এবং আমিও আমার বাবার কাছে তাই-ই শিখেছি। শিখেছি স্বাধীনভাবে পোশাক নির্বাচন করতে এবং রবীন্দ্রজয়ন🌠্তীতে, শিক্ষাঙ্গনে, আইন সভায় বা সমুদ্র তটে পরিবশের সাথে মানানসই ভাবে সাজতে। আর হ্যাঁ, সেই সঙ্গে🅠 ঘৃণা করতে শিখেছি সেই সব সিউডো বামপন্থার ধবজাধারীদের যাঁরা নিজেদের ভিতরে পিতৃতন্ত্রের বীজ বহন করে মেয়েদের চালচলন পোষাক আষাক নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে যেখানে সেখানে খাপ পঞ্চায়েত খোলেন। এই জাতীয় চিন্তাভাবনা দক্ষিণপন্থীদের শোভা পায়, বামপন্থীদের নয়।’
ক্ষো♛ভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘ফ্যাসিজম নিপাত যাক। পিতৃতন্ত্র দূর হটুক। পাড়ায় পাড়ায় গ্রামে গ্রামে কলে কারখানায় খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভেদ্য ব্যারিকেড সমস্ত ধরণের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুক, তোমার জন্মদিনে বাবা এর থেকে বেশী আর কি-ই বা চাইতে পারি। আমার মধ্যে থেকো। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলার শক্তি দিও।’