২৩ দিন পর অবশেষে বাড়ি ফিরলেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত চলচ্চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। এদিন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে পরিচালক ফিরলেন রিজেন্ট পার্কের সরকারি আবাসনে। গত ৫ই এপ্রিল বাড়িতে পড়ে গিয়ে কোমরের এবং ডান পায়ের হাড় ভাঙে বর্ষীয়ান পরিচালকের। ছিল বুকে সংক্রমণও। অবশেষে গত ৯ই এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা চলে তাঁর। আরও পড়ুন-কোমর ভেঙেছে, বুকে সংক্রমণ! SSKM-এ ভর্ত🍸ি উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, ২ মেয়ে ঋতাভরী-চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে যোগাযোগ নেই
পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে শম্ভুনাথ পণ্ডিতের অর্থোপেডিক বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। শল্য চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বে পরিচালকের কোমরের অস💧্ত্রোপচার হয়েছিল। এখন ভালো আছেন ৭৬ বছর বয়সী চলচ্চিত্র নির্মাতা। শুক্রবার, ৩রা মে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন তিনি। রাজ্য সরক🐠ারই বর্ষীয়ান পরিচালকের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন। পরিচালকের পাশে থেকেছেন SSKM-এর ডেপুটি সুপার জিয়াউল মুস্তাফা আলকাদরি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ডেপুটি সুপার বিজয় ভৌমিক।
শরীর শুকিয়ে কাঠ। ঠিকভাবে হাঁটাচলার ক্ষমতাও নেই। গত এক মাস ধরে আরও একটা ঝড় বয়ে গিয়েছে, অনেকটাই ক্লান্ত পরিচালক! দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্টেটের সমস্যা রয়েছেন উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর। আশির দশকে ‘ময়নাতদন্ত’, ‘চোখ’, ‘দেবশিশু’র মতো চর্চিত ছবি পরিচালনা করেছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। তাঁর সহকারী অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় হিন্দুস্তান টাইম൲স বাংলাকে জানান, মানসিক ও স্নায়ুর রোগ ও রয়েছে উৎপলেন্দুর। কিন্তু গতকাল সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মানিকদার বাড়ির কথাই ভাবছিলেন উৎপলেন্দুবাবু। চোখে স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন একটা ছবি জীবনের এই শেষ বেলায় করে যেতে চান'।
উৎপলেন্দু চক্রবর্তী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাঁর সহকারী তথা পুত্রসম অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মেয়েদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর, সুতরাং তাঁদের খবর দেওয়া অর্থহীন। ‘বায়োলজিক্যাল বাবা’র অসুস্থতার খবর মিডিয়ার মাধ্যমেই কানে গিয়েছে ঋতাভরীর। অভিনেত্রী সেই সময় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, 'গত ৩০ বছরে তো উনি আম💫াদের কোনও খোঁজ নেননি। সবাই আমাদের পিছনে এরকমভাবে পড়েছে কেন জানি না। ওঁর তো আরেকটা বউ-বাচ্চা আছে। তাদের পিছনে পড়ুক। ওঁর তো একটা বিয়ে নয়। দুটো বিয়ে। ওঁর আগের স্ত্রী ইন্দ্রাণী। ছেলে গোগোল। তাঁদের পিছনে পড়ুক না লোক। ৩০ বছরে তো লোকটার মুখই দেখলাম ন꧟া।’
ঋতাভরী আরও জানান, ‘২৭ বছর উনি আমাদের কোনও দায়িত্ব নেয়নি। আমার বা আমার মায়ের-দিদির।🍸 লোকটাকে চোখেই দেখিনি। শুধু কথা শুনেছি। আমার মা আর আমার দিদিকে কী কী সহ্য করতে হয়েছে সেগুলো শুনেছি। আর হালকা কিছু স্মৃতি আছে চার বছর বয়সের। তবে এখন আর কোনও অশ্লীল কথা বলতে চাই না। উনি অসুস্থ। ওঁর নামে খারাপ কিছু বলা, ইমেজ নিয়ে টানাটানি, ঝগড়া কিছুই চাই না আমি আর।’ নায়িকার শৈশবেই আলাদা হয়ে যান তাঁর বাবা-মা। শতরূপা সান্যাল ও উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর ডিভোর্স হয় ২০০০ সালে। মায়ের যন্ত্রণার কথা ভুলে উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে তিনি কোনওদিন বাবা বলে কাছে টানতে পারবেন না, স্পষ্ট জানিয়েছেন অভিনেত্রী।