꧂সুপরিচিত এবং বিখ্যাত তেলুগু পরিচালক কে বিশ্বনাথ বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এদিন তিনি তাঁর হায়দ্রাবাদের বাড়ি🍸তে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন। তাঁর তৈরি করা অন্যতম জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে আছে শঙ্করভরানাম, সাগর সঙ্গমাম, স্বাতী মুথ্যাম, ইত্যাদি। তিনি পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
মাদ্রাসের ভহিনি স্টুডিওজে অডিওগ্রাফার হিসেবে নিজের কের🍸িয়ার শুরু করেছিলেন কে বিশ্বনাথ। কিছুদিন এই কাজ করার পর তিনি পরিচালনার দিকে সরে আসেন। 🧔আদূর্থি সুব্বা রাওয়ের সঙ্গে থেকে তিনি পরিচালনার কাজ শেখেন এবং করতে থাকেন। ১৯৫১ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রথম ছবি ছিল পাতাল ভৈরবী।
১৯৬৫ সালে তিন🐭ি পরিচালক হি✨সেবে আত্মপ্রকাশ করেন আত্মা গৌরবাম ছবির হাত ধরে। এই ছবিটি নন্দী পুরস্কার পায়। এরপর ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া শঙ্করভরানাম ছবির কারণে তিনি গোটা দেশে পরিচিতি পান। ছবিটি সর্বত্র দারুণ সফলতা অর্জন করে। কর্ণাটিক এবং পাশ্চাত্য সঙ্গীতের মধ্যে যে তফাৎ আছে সেটাকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
শঙ্করভরানাম ছবিটি চারটি জাতীয় পꦬুরস্কার পায়। এই ছবিটিকে পরবর্তীতে হিন্দিতে রিমেক করা হয়। নাম দেওয়া হ♚য় সুর সঙ্গম। সেই ছবিটিও কে বিশ্বনাথ পরিচালনা করেন।
শঙ্করভর🌃ানাম ছবির সাফল্যের পর একই ঘরানার একাধিক ছবি তৈরি করেন কে বিশ্বনাথ। তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল এমন ছবি যেখানে শিল্প, গান, ইত্যাদি আছে। সেই কারণেই তিনি তখন এক🌌 এক করে সাগর সঙ্গমাম, স্বাতী কিরনাম, স্বর্ণ কমলম, ইত্যাদি বানান।
তাঁর স্বাতী মুথ্যাম ছবিটিতে কমল হাসানকে দেখা গিয়েছিল। এটি ♒১৯৮৫ সালে মুক্ত পেয়েছিল। এই ছবিটি সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে অস্কারের জন্য মনোনীত হয꧃়েছিল।
১৯৭৯ সালে সরগম ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন কে বিশ্বনাথ। এছাড়া তাঁর পরিচালিত একাধিক হিন্দি ছবির মধ্যে আছে কামচোর, শুভ কামনা, জাগ উঠা ইনসান, ইত্যাদি। তিনি রাকেশ রোশনের সঙ্গ🍒ে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন বলিউডে।
১৯৯২ সালে ত🍬িনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পান এবং ২০১৭ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হন। আট বার ফিল্মফেয়ার অ্যা𒊎ওয়ার্ড পান। তবে কেবল পরিচালনা নয়, অভিনয়ও করতেন তিনি। তেলুগু, তামিল মিলিয়ে তিনি প্রায় ২৪টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।