করোনা আবহে সিনেমা হলে আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে ঢোকবার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র। মাত্র ৫০ শতাংশ দর্শক আসন নিয়ে হল চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে হಌল মালিকদের। এই মর্মে গত মঙ্গলবারই কলকাতার সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারের মালিকরা দিদির স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। আর ছবি উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলকে চমকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনেমা হলে ১০০% আসন ক্ষমতার অনুমোদন দিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘর থেকে ঘোষণা করলেন- ‘প্যানডেমিক⭕ পরিস্থিতির জন্য, ৫০% দর্শক হলে ঢোকার নিয়ম রয়েছে, তবে এটা হয়ে গেলে আমি চিফ সেক্রেটারি আলাপন (বন্দ্যোপাধ্যায়)-কে বলে দিচ্ছি একটা নোটিফিকেশন জারি করে দিতে যাতে ১০০% হল ভরা যায়’।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সিদ༒্ধান্তের বিরুদ্ধে হেঁটে গত সোমবার তামিলনাড়ু সরকার হলে ১০০% দর্শক উপস্থিতির অনুমোদন দিয়েছিলেন। এরপর বুধবার কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দেয় এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে তামিলনাড়ু সরকারকে। বিবৃতি জারি করে মন্ত্রক জানায়,'ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের আওতায় ঘোষিত কেন্দ্রের কোনও নির্দেশিকা লঙ্ঘন করতে পারবে না রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’, এই মর্মে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে নির্দেশিকা জারি করেছে সেটি মেনে চলতে হবে তামিলনাড়ু সরকার সহ দেশের সমস্ত রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। কিন্তু এর কয়েকঘন্টার মধ্যেই উলটো সুর মমতার গলায়।
ইম্পার প্রেসিডেন্ট পিয়া সেনগুপ্ত সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘এখনও পর্যন্ত এম🍬ন কোনও রিপোর্ট সামনে আসেনি যেখানে বলা হয়েছে সিনেমা হল খোলবার পর থেকে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে’। তিনি⛎ যোগ করেন, এই ৫০ শতাংশের খাঁড়া মাথায় ঝোলবার কারণেই কোনও হিন্দি বা বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে না।
করোনা আবহে দীর্ঘ সাত মাস তালাবন্ধ থাকবার পর গত ১৫ অক্টোবর থেকে তালা খুলেছে সিনেমা হলের। তবে অতিমারীর কারণে একাধিক বিধিনিষেধ জারি রয়েছে প্রেক্ষাগৃহে, যার মধ্যে অন্যতম সিনেমা হলের আসন সংখ্যা এখন ৫০% নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাত্ ক্ষমতার মাত্র ৫০% টিকিটই বিক্রি করতে পারবেন হল মালিকরা, যাতে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা যায়। এর জেরে টিকিটের দাম বাড়িয়েও সুবিধা করতে পারছেন না মাল্টিপ্লেক্স বা সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটা𓃲রের মালিকরা। বেশ কিছু থিয়েটারের ঝাঁপ ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা হল মালিকদের কাছে সাময়িক স্বস্তির বার্তা হলেও কেন্দ্র এরপর কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখবার।