কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এ ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ ল𓃲াইট’-এর মতো সিনেমা বানিয়ে বিশ্বের দরবারে দেশকে সম্মানিত করেছেন ভারতীয় কন্যে পায়েল কাপাডিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ সম্মান পাম ডি'ওর হাতছাড়া হলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান গ্রাঁ পিঁ পুরস্কার জিতেছে পায়েলের ছবি।
কিন্তু কে এই পায়েল কাপাডিয়া?
পরিচালক পায়েল কাপ🌄াডিয়া হলেন ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন🎃স্টিটিউট (FTII)-এর একজন প্রাক্তন ছাত্রী। FTII-এ পড়ার সময় ভিন্ন কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পায়েল। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন পায়েল। সেকারণে তাঁকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ওই সরকারি প্রতিষ্ঠান।
হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। সালটা ছিল ১৯১৫ সাল। পায়েল কাপাডিয়া তখন FTII-এর ছাত্রী। সেসময় বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহান ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। প্রসঙ্গত, গজেন♕্দ্র মহাভারতের যুধিষ্ঠির চরিত্রের জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সেসময় সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন বেশকিছু ছাত্রছাত্রী। প্রায় ৪মাস ব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন সেই ছাত্রছাত্রীরা। সে সময় সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পায়েলে বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল FTII।
আবার ওই একই বছর ডিরেক্টর প্রশান্ত পাঠরাবেকে বন্দী করেꦦ রাখার জন্য ৩৫জন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে FIR-ও দা🎶য়ের করা হয়। সেই FIR-এও নাম ছিল পায়েলের। সেই কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন মোট ৭জন। সেসময় সেই রাজকুমার রাও, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দকি, অনুপম খেররাও ফিল্ম ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। শোনা যায়, সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায়, ঝানু বড়ুয়ারা ঘটনায় নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন।
এদিকে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের﷽ জেরে সেসময় ইস্তফা দিতে বাধ্য হন গজেন্দ্র চৌহান। তবে সেসময় মাশুল গুনতে হয়েছিল পায়েলকে। তাঁকে হস্টেল থেকে বের করে 💎দেওয়া হয়েছিল। ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে যাওয়ার পথ।
যদিও ঘটনার দু'বছর পর ২০১৭ সালে FTII পায়েলকে ফের সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয়, যখন পায়েলের বানানো ১৩ মিনিটের ছবি ‘আফটারনুন ক্লাউডস’-কান ফিল্ম ফ💛েস্টিভ্যালের জন্য নির্বাচিত হয়। সেবছর স্টুডেন্ট ফিল্ম বিভাগে সেরা ১৬টি ছবির তালিকায় নাম ছিল পায়েলের ‘আফটারনুন ক্লাউডস’। সেসময়ে FTII ডিরেক্টর, ভূপেন্দ্র কাইন্থোলা বলেছিলেন, তাঁরা পরবর্তী সময়ে পায়েল কাপাডিয়াকে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলাব💜দ্ধ হতে দেখেছেন তাই তাঁরা তাঁকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভূপেন্দ্র কাইন্থোলা বলেছিলেন, যাঁরা বিক্ষোভ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রীই নিজের কাজের জন্য অনুতপ্ত। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে এসে কান্নাকাটিও করেছেন।
পরবর্তীসময়ে পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে হিন্দুত্ববাদীꦜ রাজনীতির প্রভাব নিয়ে ডকুমেন্টরি বানিয়েছিলেন পায়েল কাপাডিয়া। ২০২১-এ সেই ডকুমেন্টরির জন্যই গোল্ডেন আই🃏 পুরস্কার জিতেছিলেন পায়েল। আর এবার পেলেন গ্রাঁ পিঁ পুরস্কার।