দীপিকা পাড়ুকোনের ‘গেহরাইয়া’ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই ভক্তদের। এই ছবির ক্লাইম্যাক্স অনেকেই ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেননি। শেষের ৪৫ মিনিটে ছবির চিত্রনাট্য যেভাবে অন্যদিকে ঘুরে গিয়েছে, সেই বদলের জেরেও অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েছেন। পরিচালক শকুন বাত্ไরার এই ছবির কাহিনিকারদের অন্যতম সুমিত রায়। সম্প্রতি টুইটারে সুমিতের বাবা চন্দন রায় ছেলেকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে, সবার কাছে আর্জি রাখেন এই ছবি দেখবার।
‘গেহরাইয়া’র একটি পোস্টার টুইটারে শেয়ার করে নেন চন্দনবাবু। সেখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে গেহরাইয়ার প্রশংসা করে যা বলা হয়েছে সেটির সারসংক্ষেপ রয়েছে। তিনি ওই পোস্♋টার শেয়ার করে লেখেন, ‘ছবিটা দেখুন। আমার ছেলে সুমি লেখকদের দলে রয়েছে’। এই পোস্ট ভাইরাল টুইটারে। সুমিতের ‘ড্যাডি কুল’-এর জন্য প্র🧜শংসার বন্যা মাইক্রো ব্লগিং সাইটে।
কেউ কেউ তো ছবি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও চন্দনবাবুর কাছে রেখেছেন। একজন প্রশ্ন করেন, ‘স্যার ভাগ্যিস আপনাকে খুঁজে পেলাম। আমার একটা প্রশ্ন আছে, ওঁনাকে কি অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়েছিল সংলাপ লেখবার জন্য, কারণ বাকি অর্ধেক তো চার অক্ষ🍃রের এফ ওয়ার্ড (f**k) দিয়েই চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। দয়া করে রাগ করবে না, আজকাল ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ছবিগুলোতে যে হারে এফ ওয়ার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে সেই নিয়ে চিন্তিত’।
এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন সুমিতের বাবা। তিনি লেখেন, ‘আমি কোনওদিন ছেলেকে জিজ্ঞাসা করিনি কোনও প্রোজেক্টে কাজ করে সে কত টাকা পাচ্ছে। তাই আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ। পরেরবার যখন ওর সঙ্গে আলোচনা হবে🧸 আমি নিশ্চিয় জানতে চাইব। তবে একটা বিষয় জানিয়ে আজকাল যখন তরুণ প্রজন্মকে কথা বলতে শুনি, তাঁরা সত্যি অবলীলায় ওই চার অক্ষরের শব্দ ব্যবহার করে থাকে। 𒀰তাই মনে হয় না এটা খুব বড় ব্যাপার’।
অপর একজন লেখক সুমিতের বাবাকে জানান ১৫ মিনিটের বেশি এই ছবি দেখা সম্ভবপর হয়নি। অপরজন কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ছেলেকে বলুন ছবি লেখা বন্ধ করে দিতে, বরং একটা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিন’। চন্দনবাব🌳ু সপাটে বলেন, ‘মনে হয় এই ছবির গল্প আপনার মাথার উপর দিয়ে গেছে। আপনার আরও বেশি পড়াশোনা করা উছিত এই ধরণের ছবির অর্থ উপলব্ধি করতে’।
তবে সবাই কটাক্ষ করেছে এমনটা নয়, রিচা চড্ডা, বরুণ গ্রোভার,মিনি মাথুররা সুমিতের প্রশংসা করেছেন। শকুন বাত্রার এই ছবি মূলত সম্পর্কের গল্প। ছবিটি লিখেছেন স্বয়ং পরি🍰চালক এবং আয়েশা দেবিত্রে, সুমিত রায় এবং যশ সাহা।