'নাটু নাটু'র (RRR) ও 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস'-এর হাত ধরে এবার ভারতে এসেছে অস্কার অ্যাওয়ার্ড। যদিও সেরা তথ্যচিত্র বিভাগে থেকেও ছিটকে গিয়েছে বাঙালি শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’। আপাতত দুই অস্কারেই মজে রয়েছে দেশবাসী। তবে খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান মনে করেন অস্কারের জন্য ভুল ছবির মনোনয়ন পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি, সঙ্গীতশিল্পী এল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে সময় এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্র্যামি ও অ🍒স্কারজয়ী𝓡 সঙ্গীতশিল্পী।
এ আর রহমান বলেন, ‘কখনও কখনও দেখছি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে চলে যাচ্ছে, কিন্তু সেগুলি শেষপর্যন্ত পাচ্ছে না। আমার কখনও মনে হয় ভুল ছবি অস্কারে পাঠানো হচ্ছে। আমার তো কখনও কখনও মনে হয় অন্যলোকের জায়গায় থেকে নিজেদের বিচার করতে হবে। ওয়েস্টমেয়ারের জায়গায় রেখে যদি🌼 তাহলেই আসলে ঠিক-ভুল বুঝতে পারব।’
আরও পড়ুনꦺ: 'ভালো না খারাপ জানি না, তবে আমি মা', অঝোরে কাঁদলেন বাস্তবের 'মিসেস চ্যাটাꦡর্জি'
সঙ্গীত নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাঁকেও বহুবার চরাই-উত🔴রাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছ꧙ে। আমি যখন কাজ শুরু করি, সেসময়টা ছিল দুই যুগের সন্ধিক্ষণ। যে সময় মিউজিকের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে। আগে মিউজিক করতে গেলে অর্কেস্ট্রা ব্যবহার হত, সেটা ছিল অনেক খরচ সাপেক্ষ। তবে এখুন সেই যন্ত্রগুলিই অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে, যেটা সুবিধাজনক। আর তাছাড়াও আমিও গবেষণা করে কাজ করতে গিয়ে বহুবার বিফল হয়েছি। তবে মানুষ বিফলতার দিকে তাকায় না, সফলতাগুলিকেই মনে রাখে। স্টুডিওর মধ্যে অনেক কিছুই ঘটে যায়। কখনও কিছু বানাই, আবারও সেটা ফেলে দিয়ে নতুন করে শুরু করি। বারবার সেটা করতে থাকি। এই সুযোগটা আমি পাই, কারণ বাড়িতেই স্টুডিও রয়েছে।
রহমানের কথায়, ‘তবে এটা ভীষণভাবেই সত্যি, প্যাশান থাকলেই হয় না আগে টাকা প্রয়োজন। তবে আমার বারবার মনে হয়, যখন পশ্চিমের দেশগুলি পারছে, তখন আমরা কেন নয়! আমরা যদি ওদের মিউজিক শুনি, তাহলে ওঁরা কেন শুনবেন না? আমার সবসময়ই মনে হতে থাকে, কীভাবে আরও ভালো মানের মিউজিক তৈরি হবে! কীভাবে সেগুলি ঠিকভাবে 🦩ছড়িয়ে দেওয়া হবে!’ এই প্রশ্নগুলিই আমার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে!'
এ আর রহমানের এই সাক্ষাৎকারটি দেখে অনেকেরই প্রশ্ন জ🅠াগতে পারে যে তিনি হয়ত 'নাটু নাটু' ও 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারারস'-এর অস্কার জয় নিয়ে এবং ‘অল দ্যাট ব্রিদস’-এর না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু নাহ! এমনটা ভাবা অবশ্য একেবারেই ভুল। কারণে এ আর রহমান এই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন ৬ জানুয়ারি।