সালটা ছিল ২০০৫, মালাইকা পারেখের সঙ্গে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক জায়েদ খান। ধুমধাম করেই হয়েছিল বিয়ে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জায়েদ খান বলছেন সেই বিয়ের অনেক আগেই নাকি তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তবে সেটা হয়েছিল চুপিচুপি। হিন্দু রীতিনীতি মেনেই হয়েছিল বিয়েটা। কিন্তু কোথায় হয়েছিল সেই বিয়ের অনুষ্ঠান? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স🅷েবিষয়েই মুখ খুলেছেন জায়েদ খান।
‘ম্যায় হু না’র লক্ষ্মণ ওরফে অভিনেতা জায়েদ খান জানান, ‘আমাদের জমকালো বিয়ের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।’ পরিবারের অজান্তেই এই কাজটা ঘটিয়ে ফেলেছিলেন সুজান খানের ভাই। অমৃতা রাও ও আরজে আনমোলের পডকাস্টে গিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমি আগে কখনও কথা বলিনি। আমাদের বিয়ের অতিথি তালিকায় ছিল ২০০০ জনের নাম। আর আমার তাই মনে হচ্ছিল বিয়ে নাকি সার্কাস! তাই আমি একদিন আমার ঘনিষ্ঠ ৩০ জন বন্ধুকে ডাকলাম, বললাম গ🍸োয়ার তাজ গ্রামে যাচ্ছি। সেখানে সকলের জন্য একটা চমক আছে। তবে সেটা কী তা বলিনি।’
জায়েদ বলেন, ‘সেখানেই মালাইকা সবটা খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে ফেলেছিল। একটা পুরোহিত জোগাড় করে আমরা সাতপাক ঘুরে নিয়েছিলাম। এꦓভাবেই বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল, চুপি চুপি। আসল বিয়ের অনুষ্ঠান, জাঁকজমকের আগেই💟।’
প্রসঙ্গত মালাইকা পারেখের সঙ্গে জায়েদ খানের প্রেমের সম্প🧜র্ক বহুদিনের। তাঁদের দুজনের ধর্ম আলাদা। একজন হিন্দু, অপরজন মুসলিম। জায়েদের কথায়, ‘ধর্ম কখনওই আমাদের সম্পর্কে বাধা হয়নি। আমাদের বাড়িতে সব ধর্মকেই সমানভাবেই দেখা হয়, সম্মান করা হয়, সব উৎসবই পালিত হয়। সকলেই আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। কেউ কখনও আমরা কাউকে ধর্ম নিয়ে প্রশ্নও করি না। তবে হ্যাঁ, হিন্দু বিয়ের রীতিনীতি নিয়ে বেশিকিছু আমার জানা ছিল না। তাই বিয়ের আগে মালাইকাকেই জিগ্গেস করেছিলাম, ঠিক কী কী করতে হবে?’
বর্তমানে জা🐻য়েদ খান ও মালাইকা পারেখের দুই সন্তানও রয়েছে। নাম জিদান এবং আরিজ। সুখেই ঘরকন্যা করছেন এই দম্পতি। প্রসঙ্গত, জায়েদ খান অভিনেতা-পরিচালক সঞ্জয় খানের ছেলে এবং সুজান খানের ভাই। অর্থাৎ হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক।