সনাতন সভ্যতায় বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনে যা কিছু করা হয় তা অক্ষয় হয়ে থাকে বলে জনমানসে বিশ্বাস। ঐতিহাসিক এই দিনে ঘটেছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। হাজার হাজার বছর পরও ভারতভূমির প্রত꧑িটি কণায় যার ছাপ রয়ে গিয়েছে। কী সেই ঘটনাবলি? জানেন কি?
অক্ষয় তৃতীয়াকে দেশের অনেক প্রান্তে পরশুরাম জয়ন্তীও বলা হয়। এই দিন জন্মেছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। ঋষি জমদগ্নি ও মাতা রেণুকার পুত্র পরশুরাম জাতিতে ব্রাহ্মণ হলেও আচার আচরণে ছিলেন ক্ষত্রিয়। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে তিনি পৃথিবীকে ২১ বার ক্ষত্রিশূন্য করেছিলেন। ব্রহ্মক্ষত্রিয় পরশুরামের রাজত্ব ছিল দেশের বিস্তৃর্ণ অংশে।
অক্ষয় তৃতীয়ার🤡 দিনই মহর্ষি বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী মহাভারত আকারে লিপিবদ্ধ করা শুরু করেন গণেশ।
এই দিনেই কঠোর তপস্যার মাধ্যমে গঙ্গাকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন রাজা ভগীরথ।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই ক💦ুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অসীম ধন ও ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এই কারণে এই দিন বৈভবলক্ষ্মীর পুজো হয়। এই দিন কিছু করলে তা অক্ষয় থাকে বলে মনে করা হয়।
অক্ষয় তৃতীয়াতেই পুর🔜ীতে জগন্নাথের রথযাত্রার রথ নির্মাণ শুরু হয়।
এই দিনেই ত্রেতা যুগ শেষ ও দ্বাপর যুগ শুরু হয়েছিল।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই হস্তিনাপুরের রাজসভায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করেছিলেন দুঃশাসন। দ্রৌপদীর প্রার্থনায় সাড়া 🦋দিয়ে অদৃশ্য হয়ে রাজসভায় প্রবেশ🧸 করে তাঁকে অনন্তবস্ত্র প্রদান করেন শ্রীকৃষ্ণ।
অক্ষয় তৃতীয়াতেই হিমালয়ের কোলে চার ধামের দরজা খোলা হয়। আর দরজা খুলে দেখা যায় ছ’মাস আগে যে অক্ষয়দ্বীপ জ্বালিয়ে রেখে আসা হয়েছিল তা তখনও জ্বলছে।
এই দিনেই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব হয়েছিল।
অক্ষয় তৃতীয়াতেই শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা হয় বাল্যসখা সুদামার। এক মুঠো চালের বিনিময়ে সুদামার সব দুঃখ – কষ্ট মোচন করেন শ্রীকৃষ্ণ।