বিগত কয়েকদিনে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন বেশ ভালোভাবে ছড়িয়ে গেছে বার্ড ফ্লু। তবে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, এবার ভারඣত♛েও ধীরে ধীরে ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু। কতটা সাবধানে থাকতে হবে ভারতীয়দের? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
বার্ড ফ্লু কী?
বার্ড ফ্লু হলো একটি বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই ভাইরাসকে বলা হয় অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। ভারতে আগে H5N1 এবং H7N9 ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়েছিল। বর্তমানে ধরা পড়েছে H5N2। এই ভাইরাসের বাহক মূলত পাখিরা।
মানুষ কীভাবে আক্রান্ত হয়?
চিকিৎসকদের মতে, ১৯৯৭ সালে প্রথম মানুষের শরীরে পাওয়া যায় বার্ড ফ্লু। মৃত পাখির সংস্পর্শে আসার পর এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের মধ্যে। করোনার মতোই এই ভাইরাস খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ছড়িয়ে। উপসর্গ প্রায় অনেকটা একই রকম। আক্রান্তের থুতু বা লালার মাধ্যমে এই ভাইরাস কোনও সুস্থ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে, যদিও এমন ঘটনা এখনও 🔥পর্যন্ত ঘটেনি।
(আরো পড়ুন: ভুলেও করবেন না এই ৭ টি কাজ, কিডনিতে ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যাﷺবে)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এভিয়ান ইনফ্লুয়🔯েঞ্জার A (H5N1) স্ট্রেন এখন বিশ্বব্যাপী জুনোটিক প্রাণী মহামারী হয়ে উঠেছে। এই সংক্রমণের ফলে ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে সংক্রমিত হয়েছে হাজার হাজার প্রাণী। তবে এই ভাইরাসটি মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যা⛦চ্ছে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে যারা সংক্রমিত প্রাণীর সংস্পর্শে সবসময় থাকেন, তাদের জন্য কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়।
সম্প্র🤡তি দুটি কেস উঠে এসেছে খবরে ছিল নামে। প্রথমত, অস্ট্রেলিয়ার একটি শিশু যার মধ্যে দেখা গেছে H5N1 মহ🦂ামারী। শিশুটি সবেমাত্র কলকাতায় ফিরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করে। অন্যদিকে মেস্কিকোর এক ভদ্রলোক সম্প্রতি মারা গেছেন যার মধ্যে পাওয়া গেছে H5N2 সংক্রমণ অথবা বার্ড ফ্লু।
ভারতে বার্ড ফ্লু - এর প্রভাব কী কী?
ইতিমধ্যেই ভারতের অন্তত চারটি রাজ্য, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কেরালা এব♓ং ঝাড়খন্ডে পাওয়া গেছে বার্ড ফ্লু - এর প্রভাব। এই রাজ্যগুলির পোল্ট্রির মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে গেছে এই সংক্রমণট𝐆ি।
পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের চার বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে পাওয়া গেছে H5N2 বার্ড ফ্লু ভাইরাস। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। জ্বরের সঙ𒉰্গে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট এবং পেট ব্যথার লক্ষণ ছিল তার। পরে পরীক্ষা কর𒈔ে জানা যায়, শরীরে রয়েছে বার্ড ফ্লু ভাইরাস।
(আরো পড়ুন: হাতিরও মা൲নুষের মতো নাম আছে! একে অপরকে ডাকে নাম ধরেই, দাবি করছে সমীক্ষা)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা এই শিশুটির বাড়িতে হাঁস এবং মুরগির খামার ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেখান থেকেই সংক্রমণটি ছড়িয়েছে। তবে শিশুটি ছাড়া পরিবারের আর কেউ সংক্রমিত হননি। সংক্রমনের পর শিশুটির ফুসফুস জনিত♎ কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছিল। যদিও এখন শিশুটি ভালো আছে।