সপ্তাহান্তের ছুটির দিনে বাড়িতে ভালোমন্দ খাবার খেতে অনেকেই। ছুটির দিনটা একটু আমেজ করে না খেলে চল𒆙ে কি? কিন্তু এই খাবার অনেক সময়েই হজম হতে চায় না। দুপুরের গুরুপাক সন্ধ্যায় পেট ভার, গ্যাসের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই সমস্যা কমাতে অনেকেই নানা🐼 ওষুধ খান। তবে সে সবের দরকার নেই। কতগুলি ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যা কমিয়ে ফেলা যায়।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাস্কর হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, এই সমস্যা কাটানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল, এর পরে হাল্কা খাবার খা𒀰ওয়া, পেট খালি না রাখা আর রান্নার পরে ফেলে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া।
তাঁর কথায়, ‘গ্যাসের সমস্যার বড় কারণ মানসিক চাপও। তাই প্রাচীন আয়ুর্বেদে বলাই হয়েছে, যখন মানসিক চাপ থাকবে, তখন খাবার🤪 না খেতে। তাহলে গ্যাসের সমস্যা বাড়বে। বরং খাবার খাওয়ার সময়ে যদি পুর🌺ো মনটা খাবারের দিকে থাকে। তাহলে সমস্যা কমতে পারে।
গ্যাস বা প꧂েট🌳 ভারের সমস্যা কমাতে তিনি কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছেন। রইল সেগুলি:
- দুপুরের গুরুপাকের পরে সন্ধ্যায় পেট ভার লাগছে? তাহলে চায়ের পদলে জলে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খান। যাঁদের সব সময়েই গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাঁরা এই জল প্রতি দিন খেতে পারেন। তাতে সমস্যা কমবে।
- দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে এলাচ ভিজানো জল খেতে পারেন। তাতেও কমবে গ্যাসের সমস্যা।
- জিরে, ধনে, মৌরি দিয়ে চা বানিয়ে নিন। এই চা দিনের মাথায় তিন বার খান। দু’বেলা খাবার খাওয়ার আগে একবার করে। আর মাঝে একবার। এতেও কমবে পেট ভারের সমস্যা।
- হাল্কা গরম জলে এক চামচ জোয়ান, সামান্য বিট নুন আর এক চিমটে হিং মিশিয়ে নিন। ভারী খাবারের ৪৫ মিনিট পরে এই জল খান। তাতে পেট ভার কমবে।
- ভাবছেন খাবার খাওয়ার পরে বেশি করে জল খেলে হজমের সুবিধা হবে? মোটেও তা নয়। বরং তাতে গ্যাসের সমস্যা বাড়বে। তাই খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে বেশি জল খাবেন না। গল শুকিয়ে গেলে সামান্য খান। তাতেও কমবে গ্যাস বা পেট ভারের সমস্যা।