মিঠি ইদের শেষ হলেই তার পরে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বকরি ইদ। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাস ধু আল-হিজ্জাহ-র দশম দিনে এই উৎসব পালিত হয়। বকরি ইদ আবার ইদ-উল-আদাহ, ইদ কুরবান বা কুরবান বায়ারামি নামেও পরিচিত। ইদ-উল-ফিতর যেমন পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি ঘোষণা করে তেমনই বার্ষিক হজ যাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করে বকরি ইদ। চলতি বছর ভারতে ১০ জুলাই পা🎀লিত হবে বকরি ইদ।
বকরি ইদের দিন ও সময়
এ কারণে ১০ জুলাই বকরি ইদ পালিত হবে। য♌দিও সৌদি আরবে একদিন আগে অর্থাৎ ৯ 𝐆জুলাই পালিত হবে এই উৎসব।
ইমামের উপদেশের পর মসজিদে ইদ আল-আไদাহের নামাজ পড়েন ইসলামধর্মাবলম্বীরা। সূর্যের জুহর (মধ্য দিবা নামাজের সময়)-এ প্রবেশের ঠিক আগে এই নামাজ পড়া হয়। নতুন জামাকাপড়, খানাপিনার আনন্দে দিনটি উপভোগ করেন সকলে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এদিন কুরবানি, দান-পুণ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
বকরি ইদের ইতিহাস
এক সময়ে ইব্রাহিম ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজের ছেলে ইসমায়েলকে কুরবান করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এর পর নিজের ছেলেকে এই স্বপ্ন সম্পর্কে জানান। আল্লাহ কীভাবে তাঁর কাছ থেকে বলি চাইছেন তা বোঝান ইসমায়েলকে। নিজের বাবার কথা শুনে তাঁকে আল্লাহের ইচ্ছেপূরণে অনুপ্রাণিত করে ইসমায়েল। কিন্তু সন্তান প্রেমের কারণে তিনি আল্লাহের ইচ্ছ🀅া উপেক্ষা করার অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু বেশি ক্ষণ এমন করতে পারেন না। অবশেষে নিজের ছেলেকে বলি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। ইব্রাহিমের ভক্তি দেখে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এবং গ্যাব্রিয়েল নামক দূতকে তাঁর কাছে পাঠান। গ্যাব্রিয়েলকে একটি ভেড়া দিয়েছিলেন আল্লাহ। এই গ্যাব্রিয়েল আবার জিব্রিল নামেও পরিচিত। গ্যাব্রিয়েল ইব্রাহিমকে জানান যে আল্লাহ তাঁর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে ছেলের স্থানে ভেড়া কুরবানির জন্য পাঠিয়েছেন। তার পর থেকে ইদ-আল-আদাহ পালিত হতে শুরু করে।