প্রথা ভেঙে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠিত হল বসন্ত বন্দনা। ২০১৯ সালের পর বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বভারতী ক♑র্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপাচার্য, সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, রেꦑজিস্টার, কর্মীমণ্ডলী ও কর্মী সংঘের যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- পড়ুয়া, কর্মী, অধ্যাপক-কর্মীদের মধ্যেই সীমিত পরিসরে হবে বসন্ত বন্দনা।
বিশ্বভারতীতে বসন্ত বন্দনা
মঙ্গলবার বৈতালিক ও সন্ধেয় শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বসন্ত বন্দনার অনুষ্ঠান। বুধবার সকালে সাড়ে ৬ টায় বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয় বসন্ত বন্দনা। এই বছর অনুষ্ঠানের শেষে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও গো এবার যাবার আগে’ সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। তবে উৎসবে ছিল না কোনও আবির বা রং খেলা। তার পরিবর্তে 💞ফুল দিয়ে নৃত্য সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও বহিরাগতদের প্রবেশধিকার অনুমতি ছিল না এই অনুষ্ঠানে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে কার্যত অসন্তুষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: 'যদি সম্পর্কে থাকেন...', বিয়ের করার আগে লিভ-ইনে থাকার পরামꦏর্শ, কারণ ব্যাখ্যা করলেন জিনাত
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর! ‘শ🀅িখু’ লেখা নেকপিস পরে ‘ময়দান’-এর স্ক্রিনিংয়ে হাজির জাহ্নবী
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি বিশ্বভারতীকে
বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলা দেশ-বিদেশের পর্যটক-সহ রাজ্যের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশাল জনসমাগমে যাতে ঐতিহ্য ক্ষেত্রগুলো যাতে নষ্ট না হয়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বসন্ত উৎসব বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবিꦕ, ‘ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্🧜বীকৃতি পাওয়ার পর আশ্রম চত্বরে কোনওভাবেই লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে বসন্ত উৎসব সম্ভব নয়। তাই ভিড় আটকাতে বসন্ত বন্দনার আয়োজন’।
আরও পড়ুন: আরবি থেকে মরক্কো, এই ইদে হাতে করতেও পারেন এমন ৫ ট্রেন্ডিং মেহেন্দি ডিজাইন, দেখুন ছবি
বসন্ত উৎসব প্রসঙ্গে
গত ২০১৯ সালে শেষবারের মতো বসন্ত উৎসব পালন করা হয়েছিল। এরপর করোনার কারণে পরের দুই বছর বসন্ত উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি। এরপরেও দুই বছর অন্যান্য কারণ দেখিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসন্ত উৎসব করার অনুমতি দেয়নি। এবারের সেই একটি পন্থা বজায় রা🔯খা হয়েছে।