আমাদের শরীরের বাহ্যিক গঠন আমাদের হতে থাকে না। জন্মগত ভাবে কেউ হয় ফর্সা, শ্যামবর্ণ বা চাপ রঙের। বর্তমানের বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও শল্য চিকিৎসায় আধুনিকীকরণ এই সকল ক্ষেত্রে কিছুটা সমাধান করলেও টাকায় অভাবে অনেকেই এই সব সুবিধা নিতে পারেন ন🌃া। বর্তমানে দ্যা ল্যানসেট সাইকিয়াট্রিতে (The Lancet Psychiatry) প্রকাশিত একটি দীর্ঘকালীন গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে যে বডি মাস ইনডেক্স (BMI) বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর এবং কিশোরীদের মনে হতাশা ও বিষণ্ণতার সৃষ্টি করে। ইউসিএল-এর গবেষকরা রিপোর্টটিতে বলেছেন যে, ১১ বছর থেকে শুরু হওয়া শারীরিক পরিবর্তন ১৪ বছর বয়সে গিয়ে কিশোর এবং কিশোরীদের মনে এক চরম বিষণ্ণতার সৃষ্টি করে। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে যে, মেয়েদের মধ্যে এই বিএমআই এবং হতাশার মধ্যে রয়েছে এক গভীর সম্পর্ক।
গবেষণাটিতে ২০০০ থেকে ২০০২ সালে🏅র মধ্যে জন্মগ্রহণকারী কিশোর এবং কিশোরীদের নিয়ে কাজ করা হয়েছে। ইউসিএল-এর নেতৃত্বে এই সকল কিশোর এবং কিশোরীদের প্রতিনিধিত্বমূলক কোহর্ট স্টাডি করা হয়। স্টাডিটিতে প্রায় ১৩,১৩৫ জন অংশগ্রহণ করে। গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন যে মন খারাপ, আনন্দ হ্রাস এবং অমনোযোগ ইত্যাদি বডি মাস ইনডেক্স এর সঙ্গে সম্পর্কিত। আরও লক্ষ্য করা গেছে যে ১১ বছর বয়স থেকে কিশোর এবং কিশো🌊রীদের মধ্যে হাওয়া শারীরিক পরিবর্তন তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
গবেষণাটিতে তারা দেখেছেন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের এই অনুপাত প্রায় দ্বিগুণ। গবেষণায় প্রধান দায়িত্বে থাকা ড: ফ্রান্সেস্কা সোলম๊ি (ইউসিএল সাইকিয়াট্রি) বলেছেন যে তরুণীদের মধ্যে বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পায়, তাদের অতিরিক্ত ওজনের বিএমআই এবং শরীরের গঠন নিয়ে অতৃপ্তির জন্য। অর্থাৎ এই গবেষণার ফলে প্রধান যে তথ্য উঠে এসেছে, সেটি হল শৈশবে অধিক ওꦚজন পরবর্তী সময় হতাশাজনক লক্ষণগুলির বৃদ্ধি করে। এই সম্পর্কে গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে শৈশবে শিশুর ওজন যাতে অতিরিক্ত বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও তাদের সঠিক ওজন যাতে বজায় থাকে সেইজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পর্যাপ্ত শারীরিক কসরতের দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।