হাসপাতালে কাঁদা যাবে না। কারণ কাঁদার দাম দিতে হবে। সম্প্রতি এমনই ঘটেছে এক শিশুর ক্ষেত্রে। বিরল এক অসুখের কারণে তাকে হাসপাতালে ভ෴র্তি করতে হয়েছিল। অসুখটি বোঝার জন্য এবং শিশুটির স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝতে দরকার ছিল বেশ কিছু পরীক্ষার। যত ক্ষণ না পরীক্ষার ফল হাতে আসছিল, তত ক্ষণ চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তাতে কমেনি শিশুটির ব্যথা। ফলে সে কেঁদেই যাচ্ছিল। আর তাতেই বাড়ে হাসপাতালের বিল। সম্প্রতি সেই শিশুর দিদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরটি জানিয়েছেন।
তবে এটি ভারতের ঘটনা নয়। এই ঘটনা ঘটেছে❀ আমেরিকার এক বেসরকারি হাসপাতালে। নিউ ইয়র্ক শহরের এই নামজাদা হাসপাতালের ঘটনায় বিস্মিত সারা পৃথিবীর চিকিৎসক মহলই। এমন অমানবিক কাজ সচরাচর দেখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
কী ঘটেছে সেখানে? নিউ ইয়র্ক শহরের খুবই নাজাদা ইউটিউবার ক্যামিলা জনসন। সম্প্রতি তার বোনের বিরল এখ অসুখ ধরা পড়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য ওি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অসুখটি বোঝার জন্য বেশ কয়েকটি রক্তপরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। সেই পরীক্ষার ফল হাতে না পেলে চিকিৎসক♍রা চিকিৎসা শুরু করতে পারছিলেন না।
পরীক্ষার ফল হাতে আসতে আসতে চিকিৎসায় অনেক দেরি হয়। এই সময়ে শিশুটির যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। তাতেই বাড়তে থাকে কান্নার মাত্রা। সব কিছুর পরে 🌞যখন হাসপাতালের বিল হাতে আসে, তখন ক্যামিলাদের মাথায় হাত! দেখা যায়, ৪০ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০০০ টাকা) বিল হয়েছে কাঁদ🌼ার জন্য।
৪০ মার্কিন ডলার যে খাতে দেখানো হয়েছে♍, সেটি লেখা আছে ‘Brief Emotional/Behavior Assessment’। ক্যামিলা এর সঙ্গেই লিখেছেন, কাঁদার এই বিলের অঙ্ক চোখ পরীক্ষা, হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা এবং অন্য স্বাস্থ্য পরীꦑক্ষার চেয়ে বেশ কিছুটা বেশি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যামিলা এই পোস্টে আমেরিকার বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী বার্নি স্যান্ডার্সকে ট্যাগ করেছেন। তাঁর ক🌠াছে আর্জি জানিয়েছেন, এই বিষয়টির প্রতি নজর দিতে।