শুক্রবার সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদের সঙ্গে সঙ্গে তার ঠিক নিচে দেখা দিয়๊েছে উজ্জ্বল এক গ্র♔হ। অনেকেরই দেখে মনে হয়েছে, চাঁদের গলায় মণি পরা একটি লকেট। এই দৃশ্যের ছবিতে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই আভার নিজের মতো ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন এই ঘটনার।
অনেক মানুষি এই দৃষ্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমন কিছু বলেছেন, যার সঙ্গে বাস্তবের বিশেষ সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি তার সঙ্গে জুড়📖েছে ধর্মবিশ্বাসের বিষয়টিও। অনেকেই এই দৃশ্যকে ধর্মের চোখ দিয়ে দেখেছেন।
রমজানের প্রথম সন্ধ্যায় দেখা দৃশ্যকে মুসলমানরা ঈশ্বরের চিহ্ন বলে বর্ণনা করেছেন। অনেকেই বলেছেন, রমজানের শুরুতে এমন দৃশ্য দেশে আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে। একই সময়ে আবার চলছে নবরাত্রিও। সেই কারণে, এই দৃশ্যটিকে অনেকে আবার দেবী দুর্গার সঙ্গেও জুড়ে ব্যা🦂খ্যা করেছেন। ঘটনাচক্রে শুক্রবার ছিল নবরাত্রির তৃতীয় দিনে চন্দ্রঘণ্টা দেবীর পূজার দিন। কেউ কেউ একে চন্দ্রঘণ্টার রূপ বলে মনে করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক চলেছে।
অনেকে আবার বলেছেন, এটির সঙ্গে সম্পর্ক আছে মহাদেবেরও। এটি তাঁর প𓄧্রতীক বলেও মনে করছেন অনেকে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?
তাঁরা জানিয়েছেন যে এই দৃশ্য মাঝে মাঝে দেখা যায়। এটি শুক্র গ্রহে সূর্যগ্রর্যহণ🉐ের মতো ꦍএকটি ঘটনা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আকাশে এ দৃশ্য দেখা যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনাকে বলা হয় ‘লুনার অক্লুশন অ্যান্ড ভেনাস’।
আসলে এটি সূর্যগ্রর্যহণের মতো একটি ঘটনা। এই সময়ে পৃথিবী, চাঁদ এবং শুক্র গ্রহ একটি সরল রেখায় আসে। শুক্র যখন তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ এবং পৃথিবীর সামনে আসে, তখন চাঁদের নꦓীচে কিছু সময়ের জন্য এই গ্রহকে এমন ভাবে দেখা যায়, দেখে যেন মনে হয়, কেউ এটিকে ঝুলিয়ে রেখেছে।
বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষক অভয় কুমার সিং 🐟এই প্রসঙ্গে বলেন, এই ঘটনা বছরে একবার ঘটে। আর এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী বেদান্ত পান্ডে বলেন, ২০২০ সালের শুরুতে চাঁদের নীচে শুক্র গ্রহ দেখা গিয়েছিল। এই দৃশ্য আবার ২০৩৫ সালে দৃশ্যমান হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থ🌳েকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্🔥ক