সম্প্রতি পাকিস্তানের এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে। সেখান♒ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ভাই-বোন যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে কি না। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে একটꦅি গল্পও বলা হয়েছে উদাহরণ হিসাবে। এবং শেষ বলা হয়েছে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়ে মতামত লিখতে।
ইসলামাবাদেরCOMSATSবিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে ইংরেজির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি করা হয়েছে। বলা হয়েছ🦄ে, বিষয়টি নিয়ে ৩০০ শব্দের মতামতধর্মী লেখা লিখতে। আর তার জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিন্দা করেছেন। তাঁদের মত, পাকিস্তানের এমন বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সেখানকার শিক্ষকরা এভাবেই সে দেশের সংস্কৃতি, তার ঐতিহ্য নষ্ট করার কাজে নেমেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে ꧋জানা গিয়েছে, যে অধ্যাপক এই প্রশ্নটি তৈরি করেছিলেন, তাঁকে নাকি বরখাস্ত করা হয়েছে।
কী ছিল গোটা প্রশ্ন? সেখানে প্রথমে একটি গল্প লেখা হয়। বলা হয়, ‘জুলি এবং মার্ক ভাꦍই-বোন। তারা একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছে ফ্রান্সে। কলেজের গরমের ছুটির সময়েত🎀ারা ঠিক করেছে ফ্রান্সেই কাটাবে। এই সময়ে একটি রাতে তারা একটি কেবিনে কাটাবে বলে ঠিক করে। সেখানে আর কেউ ছিল না। সমু্দ্রের সামনে সেই কেবিনে তারা একটু মজা করবে বলে ঠিক করে। তারা ঠিক করে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হবে। এটা ওদের দু’নের কাছেই একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা।’
এর পরে লেখা হয়েছে, জুলি এই সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রক ট্যাবলেট খেয়েছিল। আর মার্ক কন্ডোম ব্যবহার করছিল। ওরা দু’জনেই এই সম্প🎀র্ক দারুণ উপভোগ করে। কিন্তু স🧸িদ্ধান্ত নেয় আর কখনও এমন কাজ করবে না।
এই গল্পের শেষে পড়ুয়াদের জন্য প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ভাই-বোনের মধ্যে এমন যৌনসম্পর্ক ঠিক কি𝓡 না তা লিখতে। তবে অল্প কথায় মিটিয়ে দিলে হবে না। ৩০০ শব্দ লিখতে বলা হয় বিষয়টি নিয়ে। তার সঙ্গে বলা হয়, এটির সপক্ষে ঠিকঠাক উদ💟াহরণ দিতে। এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকেই মতামত লিখতে।
গত ডিসেম্বরের এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই তার ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। আর সেটির সূত্রেই বিতর্কের সূত্রপাত। এমনকী আমেরিকার সংবাদমাধ্যমেও এই ঘটনা উঠে এসেছে। এবং সে দেশেও ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে এই নিয়ে। তার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গি𒉰য়েছে।