ভারতে বিলুপ্ত হওয়ার সাত দশক পরে ফিরে আসছে চিতা। স্থলে দ্রুততম স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসাবে পরিচিত এই চিতা। মাত্র আড়াই সেকেন্ডে ০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে পৌঁছোতে পারে এই প্রাণী। ঘণ্টায়𓆉 ১০০ কিলোমিটারের উপরে গতিতে পৌঁছোতেও সক্ষম এটি। কীভাবে এই গতি পায় চিতা? এটি এমন একটি প্রশ্ন, যা বিজ্ঞানীদের এখনও ভাবায়।
উত্তর অনেকটাই শারীরবিদ্যায় লুকিয়ে রয়ে🧸ছে। চিতার দেহটি দৌড়োনোর জন্য গঠন করা। নমনীয় মেরুদণ্ড, হালকা কঙ্কাল, দীর্ঘ লেজ এবং বড় নাসারন্ধ্র তাকে এ♊ভাবে ছুটতে সাহায্য করে।
দৌড়োনোর জন্য আদর্শ চেহারা
চিতার মেরুদণ্ড বিরাট নমনীয়। ফলে দৌড়োনোর সময়ে এটি বিপুল পরিমাণে বেঁকে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য় করে। এই প্রাণীর কঙ্কাল দৌড়ানোর সময় তার ওজন বহন করতে সাহায্য় করে। লম্বা লেজও ভারসাম্য রক্ষার জন্য গুরুত্ব🦩পূর্ণ। এবং বড় নাসিকা এবং বড় হৃৎপিণ্ড দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস এবং দ্রুত রক্ত চলাচল সক্ষম করতে কাজ করে, যা দৌড়ানোর সময় পেশিগুলিকে আরও বেশি অক্🎀সিজেন সরবরাহ করে। চিতার কলারবোনগুলি ছোট এবং কাঁধের ব্লেডগুলি উল্লম্ব, যা কলারবোনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে না। অভিযোজনের মধ্যে দিয়ে এই চেহারা পেয়েছে চিতা।
তবে এই বিপুল পরিশ্রমের কারণেই চিতা বেশি ক্ষণ ছুটে যেতে পারে না। অবশ্যই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে থামতে হয়। না হলে শরীর অতির✤িক্ত গরম হয়ে যায়। পেশিগুলির শক্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য চিতাকে থামতে এবং শ্বাস নিতে হয়। একটি চিতা তার সর্বোচ্চ গতি মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে।
এছাড়াও, নাকের𝓰 ছিদ্র বড় হওয়ার ক𓆏ারণে বড় দাঁতের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। এবং তার ছোট দাঁতের ফলস্বরূপ, চিতার পক্ষে অন্য প্রাণীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন।