সম্প্রতি রাখিবন্ধন নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন সুধা মূর্🎐তি। রাজ্যসভার সদস্য সুধা মূর্তি হালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, রানি কর্ণবতী এবং সম্রাট হুমায়ুনের সম্পর্ক থেকে রাখির সূচনা। আর তাতেই বেঁধেছে ঝামেলা। এই ঝামেলা প্রসঙ্গে নিজের মতামতও জানিয়েছেন সুধা মূর্তি।
সারা দেশেই এর মধ্যে পালিত হয়েছে রাখিবন্ধন উৎসব। ভাই-বোনের সম্পর্ককে উদযাপন করার উদ্দেশ্যেই মূলত এই উৎসব পালিত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতিও তুলে ধরা হয় এꦿর মাধ্যমে। যেমন বাংলাতেই রবীন্দ্রনাথ এই উৎসবের আয়োজন করেছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আনার জন্য। বঙ্গভঙ্গ রদ করতে আয়োজিত হয়েছিল রাখিবন্ধন। কিন্তু ঠিক কীভাবে আদি যুগে ভারতে এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। হালে সু💃ধা মূর্তির সেই রাখির সূচনার ইতিহাস নিয়েই একটি মন্তব্য করেছিলেন। কী লিখেছিলেন তিনি?
(আরও পড়ুন: ৭৪ বছর বয়সে রাজ্যসভার সাংসদ সুধা মূর্ত💛ি, গর্বিত হয়ে আদরের ছেলে লিখলেন, 'মিসেস মূর্তি এবার দিল্লিতে')
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুধা মূর্তি🤡 লিখেছিলেন, ‘রাখিবন্ধনের একটি দারুণ ইতিহাস রয়েছে। রানি কর্ণবতী যখন বিপদে পড়েছিলেন, তিনি তখন সম্রাট হুমায়ুনকে একটি রাখি পাঠান। বোন-ভাইয়ের সম্পর্কের চিহ্ন হিসাবে সেটি পাঠান তিনি। সাহায্য চান সেটির মাধ্যমে। সেখান থেকেই রাখিবন্ধনের সূচনা। আজও যে রীতি চলে আসছে।’
সুধা মূর্তির এই দাಞবি অনেকেই অস্বীকার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। এবং বলেছেন, এই কথাটির পিছনে কোনও সত্যতা নেই। কেউ কেউ এই প্রসঙ্গে তুলে এনেছেন সুধা মূর্তির বর নারায়ণ মূর্তির একটি মন্তব্যও। সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের কথা বলেছিলেন নারায়ণ মূর্তি। কেউ কেউ বলেছেন, ‘যদি ৭০ ঘণ্টা লাগে, তাও নিন। কিন্তু এটা কী বলতে চেয়েছেন, তার ব্♔যাখ্যা দিন।’
(আরও পড়ুন: ৯-১৪ বছরের মেয়েদের জরায়ু ক্যানসারে🐈র টিকা দিতে রাজ্যসভায় বার্তা সুধা🐲 র্মূর্তির)
তবে এই সব বিতর্কের জবাব দিয়েছেন ꦓসুধা নিজেও। তিনি বলেছেন, ‘রাখি নিয়ে বহু গল্প রয়েছ🍌ে। তার মধ্যে রানি কর্ণবতী এবং হুমায়ুনের গল্প একটা। এটিই রাখির সূচনা নিশ্চয়ই নয়। একটি ভিডিয়োতেও বলেছি, এর আগেই রাখির চল ছিল। ছোটবেলায় শোনা রাখির অনেক বিখ্যাত গল্পের মধ্যে একটিকে তুলে ধরতে চেয়েছি। রাখির সুন্দর একটা দিককে তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে। এই কাহিনির আগে থেকেই আমার প্রিয় দেশ ভারতে রাখি উদযাপনের চল ছিল। আমার সেটা নিয়ে গর্ব আছে। আমি নিজের ভাইবোনেদের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপন করতেও ভালোবাসি।’
আপাতত এসব বলে নিজেকে বিতর্কের 🌃বাইরে নিয়ে যেতে চাইছেন সুধা মূর্তি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার আক্রমণের কারণে ইতিমধ্যেই কিছুটা অস্বস্তিতে তিনি।