সাম্প্রতিককালে থাইরয়েডের সমস্যা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। হাইপোথাইরয়েডিজমের মূল কারণ হল শরীরে স্বাভাবিক আয়োডিনের ঘাটতি। থাইরয়েড গ্রন্থি যখন নিজে থেকে যথেষ্ট পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে পারে না, তখনই দেখা দেয় এই সমস্যা। সম্প্রতি কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা থাইরয়েডের সমস্যায় বেশি ভুগছেন। এমনকি নারীদের থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় তিনগুণ বেশি। থাইরয়েডের কারণে নারীদের মাসিকেও জটিলতা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হলে তা প্রাণঘাতী আকারও ধারণ করতে পারে। এই ক🦹ারণে এই রোগকে সাইলেন্ট কিলার বলা হয়।
থাইরয়েডের সমস্যায় নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশা🐓পাশি খাওয়াদাওয়াতেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কিছু নির্দিষ্ট খাবার কঠোরভাবে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে, আয়ুর্বেদের সমাধান মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই সারতে পারে এই সমস্যা। দেখে নেওয়া যাক, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন কোন পথ্যে সারতে পারে থাইরয়েড। এছাড়া কোন কোন খাবার এই রোগে একেবারেই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
থাইরয়েডের পথ্য
১. ফ্ল্যাক্স পাউডার এই রোগের অন্যতম পথ্য। রোজ এক চা চামচ ফ্ল্যাকℱ্স পাউডার খেলে মুক্তি মিলবে এই 🧔সমস্যা থেকে।
২. দশ গ্রাম আমলকি শুকিয়ে তার গুঁড়ো🌱 এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি রোজ সকালে খাল༒ি পেটে খেতে হবে। এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে ১৫ দিনের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।
৩. এক গ্লাস জলে ধনিয়া সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই মিশ্রণ পরদিন স♉কালে পান করতে হবে।
৪. দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যে যথেষ্ট পরিমাণে আয়োডিন থাকে। এই আয়োডিন হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীর প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন। তাই দুধ ও দুগ⭕্ধজাত দ্রব্য রোজকার ডায়েটে থাকা জরুরি।
কী কী এড়িয়ে চলবেন
১. মশলাদার ও বেশি তেল দিয়ে রাঁধা খাবার থা💝ইরয়েডের রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত।
২. থাইরয়েডের সমস্যায় মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া জরুরি। এই ধর༺নের 🅠খাবারে থাইরয়েড বাড়তে পারে।
৩. এই সমস্যায় পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাব🔯ার যেমন পাঁউরুটি, কে🌃ক, পাফ ইত্যাদি ডায়েটে রাখা উচিত নয়।
৪. হাইপোথাইরয়েডিজম 🍃রোগে সামুদ্রিক খাবার যেমন সালমন, টুনা ইত্যাদি মাছ খাওয়া যেতে পা🅺রে। সামুদ্রিক খাবারে বেশি পরিমাণে আয়োডিন থাকে। তবে খুব বেশি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে দেখা দিতে পারে গুরুতর সমস্যা।