পুরাণ মতে মনে করা হয় জীবিত কোনও ব্যক্তির আগের তিন পুরুষ পিতৃলোকে 𓆏বাস করে। এই জায়গাটি স্বর্গ এবং মর্ত্যের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত বলেই মনে করা হয়। এই আত্মারা তাদের বংশের কেউ মারা গেলে তার আত্মাকে এসে নিয়ে যায় পিতৃলোকে। নতুন কারও মৃত্যু হলে পিতৃলোকে যে তিন আত্মা ছিল তাদের মধ্যে একটি আত্মা স্বর্গে চলে যায়। এবং ক্রমে তা পরমাত্মায় বিলℱীন হয়ে যায়। তাই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে তাই কেবল তিন প্রজন্মের হয়ে থাকে আর এই অনুষ্ঠানে যমের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।
সূর্য যখন কন্যারাশিতে প্রবেশ করে তখন পিতৃপক্ষ শুরু হয়। এবং মনে করা হয় এই সময় পূ꧋র্বপুরুষেরা পিতৃলোক ছেড়ে উত্তরপুরুষদের বাড়িতে অবস্থান করে। এরপর আবার যখন সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে প্রবেশ করে তখন তারা আবার পিতৃলোকে ফিরে যান। তাই পিতৃগণের অবস্থা𝔍নের প্রথম পক্ষে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে হয়।
হিন্দু রীতি অনুযায়ী, এই পক্ষে প্রেতকর্ম বা শ্রাদ্ধ, তর্পণ এবং জন্ম মৃত্যু সংক্রান্ত সমস্ত আচার পালন করতে হয়। শুভকাজ এই সময় কখনই করা উচিত নয়। দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতে গ▨ণেশ পুজোর পরের ভাদ্র মাসের🌊 পূর্ণিমায় এই পক্ষের সূচনা হয় এবং শেষ হয় মহালয়ার দিন।
এই বিষয়ে মহাভারতের একটি কথা অবশ্যই বলতে হয়। কর্ণ যখন মারা যান, তা🎐ঁর আত্মা স্বর্গে গেলে তাঁকে কেবল সোনা দানাই খেতে দেওয়া হয়। কারণ তিনি জীবিত অবস্থায় সকলকে কেবল সোনা দান করেছেন, কখনও খাবার দান করেননি। তখন কর্ণ জানান তিনি পিতৃগণের সম্পর্কে তিনি জানতেন না তাই তিনি অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই ভুল করেছেন। তখন তাঁকে আবার ১৬ দিনের জন্য মর্ত্যে ফেরত পাঠানো হয়, যাতে তিনি পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন এবং জল প্রদান করতে পারেন। এই সময়টাই পরবর্তী সময়ে পিতৃপক্ষ হিসেবে▨ পরিচিত হয়।