কিডনিতে পাথর যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষের হতে পারে। প্রস্রাবের নুন এবং খনিজ পদার্থ জমে জমে কিডনিতে যে শকღ্ত পদার্থ তৈরি হয়ে সেটাকেই বলা হয🐬়ে থাকে কিডনির পাথর। এটা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট যে কোনও অংশ, অর্থাৎ মূত্রথলি অথবা কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে।
কিডনিতে পাথর হলে সেটা একাধিক লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। যদি সঠিক সময় এই রোগের চিকিৎসা না হয় তাহলে এটা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। অনেক সময় বেশি পরিমাণে জল খেলে এই পাথরগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন এটা ইউরিনারি ট্র্যাক্টে আটকেꩵ যায় তখনই সমস্যা সৃষ্ট🦂ি করে। অপারেশন করতেও হতে পারে এই ক্ষেত্রে।
তবে কিডনির পাথর নিয়ে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। আসুন ಞদেখে নেওয়া যাক সেগুলো ক💮ী কী।
কিডনির পাথর নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা:
১. ক্যালসিয়াম, দুধ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার না খেলে কিডনিতে পাথর জমে না। অর্থাৎ এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। কিন্তু আদতে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত। এবং সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম খেলে সেꦑটা বরং কিডনিতে পাথর হওয়া আটকায়। উল্টে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বন্ধ করে দিলে তার সরাসরি কুপ্রভাব হাড়ের উপর পড়ে।
২. 🤡কিডনিতে পাথর জমলেই কোমর ব্যথা করে। এটাও একটা ভুল ধারণা। আদতে কিডনিতে পাথর জমলে কোনও ব্যথাই হয় না যতক্ষণ না সেটা আমাদের ইউরিনারি ট্র্যা🌼ক্টে আটকে যাচ্ছে।
৩. বার্লির জল আর ক্যানবেরির রস কিডনির পাথর প্রস্রাবের মা🦋ধ্যমে বের করতে সাহায্য করে। এটাও একটা ভুল ধারণা। ক্যানবেরির রস মূলত ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন হলে খেতে বলে। এটার সঙ্গে কিডনির পাথরের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে বার্লির জল কিডনির পাথরের সমস্যা দূর করে যে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
৪. ওষুধের মাধ্যমেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিডনির পাথরের সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়। না হয় না। কেবল যখন খুব সংখ্যক পাথর জমে, কিংবা পাথরগুলো যখন ইউরিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয় তখনই একমাত্র ওষুধের মাধ্যমে সেটা সারানো সমꦰ্ভব হয়।
৫. যাঁদের কিডনিতে পাথর আছে তাঁদের টমেটো খাওয়া উচিত নয়। এটাও একটা ভুল ধারণা। বরং টমেটো খাওয়া উচিত এতে পটাশিয়াম আছে যা আমাদের শরীরের জন্য দরকারি।✨ প্রত্যেকদিন টমেটো বা এই জাতীয় বীজহীন সবজি বা ফল খাওয়া উচিত।