সদ্য ২১ মার্চ পার হয়েছে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। তবে এই ইস্যি নিয়ে আলোচনায় বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের 🔥কিছু উদ্ভাবনী দিক। বলা হচ্ছে প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে বর্তমানে যে প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়, তাতে ৯০ শতাংশ ডাউন সিন্ড্রোম কেস ধরা পড়ে, যেখানে 'ফলস পজিটিভ রেট' ৫ শতাংশ। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গর্ভবতীরা তাঁদের গর্ভাবস্থার খুব প্রাথমিক সময় থেকে যদি চিকিৎসকের কাছে যান, ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর যদি রক্ত পরীক্ষা করান, আলট্রাসাউন্ড টেস্ট করিয়ে ন🐼েন, তাহলে তাহবে গর্ভের পরিস্থিতি জানা যায় সঠিকভাবে। এরফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সেই দম্পত্তি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা পেতে পারেন।
ডাউন সিনড্রোম হল একটি জেনেটিস 💦সমস্যা। যে ক্ষেত্রে শিশু জন্মায় একটি বাড়তি ক্রোমোজম নিয়ে। ক্রোমোজম হল একটি অল্প জিনের সমষ্টি, তাদেন নিয়ন্ত্রণেই থাকে গর্ভাবস্থা থেকে জন্মের পর শিশুর বাড়-বৃদ্ধি । বাড়তি ক্রোমোজম থাকার বিষয়টিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ট্রাইসমি বলা হয়। একটি শিশু জন্মানোর সময় ৪৬ টি ক্রোমোজম নিয়ে জন্মায়। ডাউন সিন্ড্রোমের শিশুরা তার থেকে একটি ক্রোমোজম বেশি নিয়ে জন্মায়। বহু ক্ষেত্রে বয়স বেশি রয়েছে এমন𝔉 মায়েদের ক্ষেত্রে এই ধরনের শিশুর জন্ম দেখা যায়। উল্লেখ্য, ডাউন সিন্ড্রোমে থাকা শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক বিকাশ যেমন একটি চ্যালেঞ্জ, তেমনই হার্ট সুস্থ রাখা তাদের কাছে বড় বিষয়। অনেক সময় এদের রক্তাল্পতা থেকে লিউকোমিয়াও ধরা পড়ে। থাকে থাইরয়েডের সমস্যা, রক্তাল্পতা।
গর্ভাবস্থার খুব প্রাথমিক অবস্থায় মহিলাদের রক্তপর♐ীক্ষা এই জন্য প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান। গর্ভবতী মহিলার ডিএনএ থেকেও এই সম্পর্কে বহু তথ্য পাওয়া যায়। যদিও একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় এই শিশুরা। তবুও যদি সঠিক সহযোগিতা তারা পেয়ে যায়, তাহলে তাদের আটকানো সম্ভব নয়। বহু ভুল ধারণা ডাউন সিনড্রোমকে নিয়ে বছরের পর বছর লালিত হচ্ছে সমাজে। এবিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। চিকিৎসকরা বলছেন, খোলা মনে এমন শিশুকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসা সহায়তার বন্দোবস্ত রয়েছে আধুনিক যুগে।𒊎 যা দম্পতিদের সিদ্ধান্তকে দিশা দিতে পারে বহু সময়ই।