রণবীর ভট্টাচার্য
বদলাচ্ছে সময়🤪, পুরনো গোঁড়ামি আঁকড়ে না থেকে প্রগতিশীলতার পথে এগোচ্ছে বাঙালি! যাঁরা পুজো করছেন, যাঁরা ঢাক বাজাচ্ছেন, তাঁরা সকলেই মহিলা! পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতাতে নয়, একদম রাজধানী দিল্লিতে এবার দুর্গা পুজোয় দেখা গেল এরকম দৃশ্য। চিত্তরঞ্জন ꦇপার্কের গুহ রায় পরিবারের মূল আকর্ষণ বোধহয় এই পট পরিবর্তন। নয় নয় করে ১৮ বছরে পা দিল এই পুজো। প্রতি বছর বন্ধু, বান্ধব, প্রতিবেশী, রাজনৈতিক কুশীলব, আমলা, বাঙালি-অবাঙালি মিলে মিশে গুহ রায় পরিবারের দুর্গা পুজো উদযাপন দিল্লির প্রবাসী বাঙালিদের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছে। বাংলা থেকে হাজার মাইল দূরে হয়েও বাঙালিয়ানার সুন্দর মেলবন্ধনে ইতিমধ্যেই নজর কেড়ে নিয়েছে এই বাড়ির পুজো।
পুজোর অন্যতম আয়োজক তথা গুহ রায় পরিবারের কত্রী কেয়া গুহ রায় জানালেন," দুর্গা পুজো মায়ের আরাধনা। এই বছর আমাদের এই বাড়ির পুজোয় মহিলা পুরোহিত এবং মহিলা ঢাকি পুজোর আঙিনাকে নিঃসন্দꦗেহে এই অনন্য রূপ দিয়েছে।" কলকাতার ঢাকি চ্যাম্পিয়ন গ্রুপ থেকে ঝুম্পা মন্ডল, সরমা মন্ডল এবং কুশ দাস এসেছেন ঢাক বাজাতে। তাদের কাছেও এটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা। দুই মহিলা ঢাকির বাড়ি কলকাতার অনতিদূরে মসলন্দপুরে। যারা বিগত দুই দশক ধরে গুহ রায় পরিবারের দুর্গা পুজোয় অংশগ্রহণ করেন, তাদের কাছেও এই নতুনত্ব ও অভিনবত্ব নজর কেড়েছে। এখন দেখার যে সামনের দিনে, দিল্লির অন্যান্য বাড়ির 🔴এবং বারোয়ারি পুজোর আয়োজকরা এই নতুন ধারাকে কিভাবে গ্রহণ করেন।
দুর্গা পুজো বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো। দেশ বিদেশ জুড়ে সর্বত্র এই পুজোর উদযাপন দেখা যায়। তবে বঙ্গের 💃বাইরে অনেক সময়েই দেখা যায় যে কিছুটা স্থানীয় মানুষের সুবিধার্থে রীতি নীতিতে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে মূল আঙ্গিককে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে। তবে বল⛎াই বাহুল্য যে নারী শক্তির উদযাপনে অনেক সময়েই আড়াল হয়ে যায় নারীর ক্ষমতায়নের দিকটি। তবে এর মধ্যেও অনেকেই গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছেন প্রগতিশীলতার মূল ভাবনাকে আগলে রেখে। এখানে উল্লেখ্য যে গুহ রায় পরিবারের কন্যার বিয়ে সম্প্রদান করেছিলেন মহিলা পুরোহিত। অনেকেই উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যে অতিরিক্ত পুরুষতান্ত্রিক আচার অনুষ্ঠানের কথা বলেন। সেই দিক থেকে বলতে গেলে, গুহ রায় পরিবারের এই চিন্তা ভাবনা মায়ের আরাধনায় শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্য বলা যেতেই পারে।