Durga Puja 2024: দেবী মহিষাসুরমর্দিনী তাঁর প্রিয় সিংহের নামেও আমাদের কাছে পরিচিত। তিনি সিংহবাহিনী। দেবীর এই রূপেরই পুজো হয় পুরাতন মালদা পৌরসভার চক্রবর্তী পরিবারে। প্রায় ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো। ৪০০ বছর আগে তখনকার বংশধর স্বপ্নাদেশ মায়ের কাছ থেকে। স্বপ্নাদেশে জানতে পারেন তাদের পার্শ্ববর্তী পুকুরেই রয়েছে একটি দুর্গা প্রতিমা। দুর্গা প্রতিমাটি অষ্ট⛎ধাতুর। একটি ঘটও তার সঙ্গে পড়ে রয়েছে। পরদিনই সেই পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় সিংহবাহিনীর মূর্তি ও ঘট। তার পর থেকে শুরু হয় চক্রবর্তী বাড়ির বিখ্যাত দুর্গা পুজো।
নেই বিসর্জনের রীতি
স্বর্গীয় বসন্ত চক্রবর্তী স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর মূর্তি উদ্ধার করেই শুরু করে দেন মায়ের পুজো। অতি নিষ্ঠা সহকারে সেই পুজো সম্পন্ন হয়েছিল বলে শোনা যায়। তার পর থেকে প্রতিবারই একইরকম নিষ্ঠা নিয়ে মায়ের পু🃏জো করা হয়। দুর্গা পুজোর সময় বিশেষ পুজো হয় মূর্তির। বছরের অন্যান্য দিন মা নিত্যপুজো পান। এই পুজোয় বিস💯র্জনের (Durga Puja) পরিচিত রীতি নেই। প্রতিষ্ঠিত দেবীমূর্তি বলে অন্যান্য পুজোর থেকে রীতিনীতির নিরিখে কিছুটা আলাদা এই পুজো।
চক্ষুদান ও প্রাণপ্রতিষ্ঠার রীতিও নেই
যেহেতু প্রতিষ্ঠিত দেবীমূর্তি, তাই এখানে প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও চক্ষুদানের রীতি নেই বলেই জানাচ্ছেন চক্রব🌊র্তী পরিবার। পরিবারের বংশধরদের কথায়, এই পুজোয় মায়ের সন্তানেরা থাকেন না। শুধুমাত্র সিংহবাহিনী দেবীর বিগ্রহের পুজো করা হয়। অনুপস্থিত থাকেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক। আগে চক্রবর্তী বাড়ির পুজো থাকলেও বর্তমানে এই পুজো সার্বজনীন পুজোর রূপ নিয়েছে। তারাপুর এলাকার বাসিন্দারা সানন্দে যোগ দেন পুজোর আয়োজনে। পুজোর চারদিন এলাকায় উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে।
আরও পড়ুন - Durga♏ Puja 2024: কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু হয় মায়ের এক স্বপ্নাদেশেই, কী বলেছিলেন দ🎉েবী?
মন্দিরে পূজিত হন মা
মা সিংহবাহিনীর পুজো মন্দিরে সম্পন্ন হয়। তবে পুজোর নিয়মকানুন সাধারণ দুর্গা পুজোর নিয়মকানুনের থেকে কিছুটা আলাদা। নিত্যপুজো সকাল দশটা থেকে এগারোটার মধ্🤪যে শেষ হয়ে যায়। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বিশেষ পুজো হয়। কিন্তু পুজোয় মাকে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি নেই। বরং লুচি হালুয়া সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। সঙ্গে রাখা হয় বিভিন্ন ফলমূল। ত্রিপাঠী পরিবার বংশপরম্পরায় এই পুজোয় পৌরহিত্য করেন। বর্তমানে গোপীনাথ ত্রিপাঠী মায়ের পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন।