চোখ হল মন𒆙ের জানালা। আমরা কেউই দৃষ্টি ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না।এই সুন্দর পৃথিবীর সব কিছু উপভোগ করার জন্য দৃষ্টির প্রয়োজন। চোখের সমস্যা যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে জীবন যেন অন্ধকারময়। ঝাপসা দেখা, চোখের জ্বলন, চুলকানি, লাল ভাব, আপনাকে বিরক্ত করছে। যদি এই সকল সমস্যা আপনার হয়ে থাকে তাহলে জেনে নিন এগুলিই শুষ্ক চোখের লক্ষণ।
প্রথমে জানতে হবে শুষ্ক চোখ কেন হয়? এর ꦛপ্রতিকার কী? আমাদের চোখে অনেক গ্রন্থি আছে। এগুলি চোখকে নিরাপদ রাখে।এগুলি কোনও কারণে বন্ধ হয়ে গেলে বা গ্রন্থিগুলি থেকে জল নি꧒ঃসরণ কম হলে চোখ শুষ্ক হয়ে পড়ে।
চ▨োখের ভালো থাকার জন্য দ𓃲রকার লুব্রিক্যান্ট। যখন অশ্রুগ্রন্থি পর্যাপ্ত লুব্রিক্যান্ট উৎপাদন করতে পারে না তখনই ড্রাই আইজের মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
কীভাবে রোগ নির্ণয় করবেন?
চোখে 🔥কাঁটা বিঁধে থাকার মতো অনুভূতি, খচখচ করা, চোখ দিয়ে জল পড়া। মাথাব্যথা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, লালাগ্রন্থির নিঃসরণ কমে যাওয়া এ-সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। ডাক্তাররা সাধারণত স্লিট ল্যম্প পরীক্ষা, কর্নিয়া এবং শিমার স্টেস্ট মাꦉধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করে থাকেন।
বয়স বাড়লে এই সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পরে এটি হয়। অতিরিক্ত এসি রুমে থাকলেও ড্রাই আইজ হ⭕ওয়ার আশঙ্কা থাকে। দূষিত আবহাওয়া ড্রাই আ𝓰ইজের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া ভিটামিন এ-র অভাবেও এই রোগ হতে পারে। যদি সঠিক সময় চিকিৎসা না হয় তাহলে দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে পারে।
ড্রাই আইজের চিকিৎসা
অনেকে কৃত্রিম উপায়ে চোখের জল তৈরি করার জন্য চোখের ড্রপ নিয়ে থাকেন। এই সকল ড্রপ আপনার চোখে লুব্রিকেট তৈরি করতে সাহায্য করে। অনেকে আবার ওমেগা꧃-৩ ক্যাপসুল ব্যবহার করতে বলেন। চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সফট কন্টাক্টলেন্স ও চশমা ব্যবহার খুবই উপযোগী। প্যারোডিট-ডাক্ট প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেও চোখের শুষ্কতা দূর করা যায়। চোখের ব♐্লক গ্রন্থিগুলি পরিষ্কার করতে চোখের ম্যাসাজ, চোখের থেরাপি ম্যজিকের মতো কাজ করে।
শুষ্ক চোখের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির চিকিৎসায় আপনি সেরে উঠতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন🌺 সচেতনতা ও ডাক্তারি পরামর্শ। চোখের শুষ্কতা ধরে রাখার জন্য 🦂বাড়িতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া কম্পিউটার, টিভি দেখার সময় চশমা পরা উচিত। এতে সরাসরি চোখে প্রভাব কম পড়ে। এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুন্দর থাকবে চোখ। ভালো থাকবেন আপনিও।