করোনার সূত্রপাত নিয়ে এখনও নানা রকমের তত্ত্ব উড়ছে বাতাসে। সেই ২০১৯ সা♛লের শেষ দিক থেকেই অনেকে বলে আসছেন, করোনার সূত্রপাত চিনের উহান ল্যাবরেটরিতে। সেখানে দুর্ঘটনার কারণেই ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাস। আবার কারও কারও মত, চিনের বাজার থেকে এই জীবাণু ছড়ায়।
কিন্তু করোনা সংক্রমণ অতিমারির চেহারা নেওয়ার পরে প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। এখন এই ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর🦩্কে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? হালে এ প্রসঙ্গে তিনটি রিপোর্ট জমা পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর কাছে। সেখানে দু’ধরনের কথা বলা হয়েছে।
- দু’টি রিপোর্ট বলছে, এই ভাইরাসের সূত্রপাত চিনের উহানেই। তবে সেটি ল্যাবে নয়, উহানের বাজারে।
- একটি রিপোর্ট বলছে, চিনে প্রথম সংক্রমণ হলেও এর সঙ্গে ভৌগলিক সীমানার কোনও সম্পর্ক নেই। অন্য প্রাণীর শরীর থেকে এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছিল।
দু’টি রিপোর্ট প্রথম যে তত্ত্বটি দিয়েছে, সেটিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ꦓবিজ্ঞানীরা। অধিকাংশে📖রই মত, উহান প্রদেশের পশুর বাজার থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাসটি?
এই বিষয়ে কয়েকট🦋ি তত্ত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একাংশের মত, বাদ🎉ুড় থেকেই এটি মানুষের শরীরে আসে। উহানের ওই বাজারে বাদুড় বা তার মাংস বিক্রি হয়। সেখান থেকেই মানুষের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
তবে আর একাংশের 🎶মত, সরাসরি বাদুড় থেকে এই ভাইরাস মাꦑনুষের শরীরে আসেনি। তার আগে এটি অন্য কোনও প্রাণীর শরীরে গিয়েছে। সেখানে মিউটেশন ঘটিয়েছে। তার পরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে। মাঝের এই প্রাণী র্যাকুন জাতীয় কুকুর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রাণীটিও উহানের ওই বাজারে বিক্রি হয়।
মোদ্দা কথায়, এই জীবাণু ছড়ানোর পিছনে যে উহানের বাজার এবং সেখানে বিক্রি হওয়া প্রাণীদের ভূ🎃মিকা আছে, তা মোটের উপর মেনে নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, বিভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা বিভিন্ন প্রাণী পাশাপাশি এক জায়গায় রেখে তাদের খাবার হিসাবে বিক্রি করা হয় এই জাতীয় বাজারে। ফলে একটি প্রাণীর থেকে অন্য প্রাণীর শরীরে যে কোনও জীবাণু লাফ দিতে পারে। যেহেতু প্রাণী দু’টি এক পরিবেশের নয়, ফলে একের শরীরের জীবাণু অন্যের শরীরে গিয়ে মিউটেশন ঘটিয়ে স🌠ম্পূর্ণ নতুু রূপ নিতে পারে।
এই নতুন ভাইরাসটি যদি কোনও ভাবে মানুষের ⛄শরীরে চলে আসে, তাহলে𒐪 যে কোনও সময়েই তা মহামারির আকার নিতে পারে। কারণ নতুন ভাইরাসটিকে আটকানোর মতো রোগ প্রতিরোধ শক্তি বহু মানুষের শরীরেই থাকে না। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও এমনই কিছু হয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা।