আ🌃জ কালীপুজো বা দীপাবলি। আলোর উৎসব পালিত হয় দেশজুড়ে। আনন্দে মেতে ওঠেন মানুষ। তবে সেই আনন্দের দিনেও খেয়াল রাখতে হয় কয়েকটি বিষয়ের দিকে। পরিবার বা বন্ধুমহলে যদি কেউ ক্যানসার রোগী থাকেন, তাহলে তাঁদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। দীপাবলি উপলক্ষ্যে যাতে খাওয়া-দাওয়ার কঠোর নিয়মে ঢিলেমি না দেওয়া হয়।
খাবারের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম
এসিআই কুম্বালা হিল হাসপাতালের অঙ্কোসার্জেন এবং চেয়ারম্যান রমাকান্ত দেশপান্ডে বলেছেন, 'খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ꦯপরামর্শ অনুযাযী ক্যানসার রোগীদের স্বাস্থ্যকর অভ্যেস তৈরি করতে হবে। মিষ্টি এবং নোনতা খাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকে। ডায়েটে সবরকমের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান থাকতে হবে। জাঙ্কফুড, তেলজাতীয় খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার (প্রসেসড ফুড) একেবারে এড়িয়ে চলুন। দিনভর এনার্জি বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।'
ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে
সেইসঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ক্যানসার রোগীদের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। যাতে কোনওরকম সংক্রমণ না হয়। পদ্মশ্রী প্রাপক চিকিৎসক দেশপান্ডে বলেন, ‘যাঁরা ক্যানসারে আক্রান্তে, তাঁদের বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকতে হবে। ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে ঠিকমতো ভেন্টিলেশন (হাওয়া চলাচলের জায়গা) থা๊কতে হবে। অন্য লোকজনের থেকে সুরক্ষিত বজায় রাখুন। বাড়িতে যাতে লোকজন না আসেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তিদের ধারেকাছে থাকবেন না। নির্দিষ্ট 𝔍সময় অন্তর হাত ধুতে হবে।’ রাতে ভালো করে ঘুমানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দীপাবলিতে বাজি এড়িযে চলতে হবে
প্রতি বছর কালীপুজো বা দীপাবলির সন্ধ্যায় শব্দদূষণ এবং বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই সেই সময় ক্যানসার রোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এসিআই কুম্বালা হিল হাসপাতালের অঙ্কোসার্জেন এবং চেয়ারম্যান বলে🥃ন, ‘যদি শব্দবাজির আওয়াজ বেশি হয়, তাহলে ক্যানসার রোগীদের ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করতে হবে। যেখানে বাজি পোড়ানো হচ্ছে, সেখাবে যাবেন না। বাইরে যখন বাজি পোড়ানো হচ্ছে, তখন জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন।’