একটা সময় ছিল যখন বাবা মায়েরা চিন্তা করতেন, ছেলে মেয়ে ‘স্মার্ট’ হবে কি না। তার পরে স্মার্টফোন এসে গেল। মোটামুটি একটা প্রজন্ম স্মা💮র্টফোন🌱 ব্যবহার করে ‘স্মার্ট’ হয়ে গেল। কিন্তু গোলমাল বাঁধল অন্য জায়গায়। সবাই কথা বলেন, কেউ শোনেন না। এর মানে কী? খুব সহজ, কেউ কারও কথা শুনতে সময় দেন না। তাই কথা হয়, লেখা হয়, কিন্তু কথোপকথন হয় না।
যোগাযোগ বাড়ে তবু দূরত্ব বেড়ে যায় কেন?
সোশ্যাল মিডিয়া বড্ড অদ্ভুত। সবাই সব সময় কাছে, কিন্তু জন্মদিন আর বিশেষ দিন ছাড়া কথা হয় না। হঠাৎ দেখা হয়ে গেলে মনে হয় কী বলেছি, কী বলব। সব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া জরুরি যোগাযোগের মাধ্যম হয়েছে। এছাড়া একজনের পাঠানো খবর আর একজনকে পৌঁছে দেওয়া— তাই ডিজিটাল দৈত্য যেন ডিজিটাল দৌত্য করছে। সব মিল💎িয়ে কথা নেই, প্রাণ নেই, প্রাণখোলা হাসি নেই। যোগাযোগ আছে, কিন্তু মনের দূরত্ব বাড়ছে। এটাই যদি বাস্তব হয় তাহলে ভবিষ্যৎ কী? সকলেই জানেন।
অকারণেই কথাﷺ হোক। দেখা গিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়কালে সাধারণ মানুষ গ্রুপ চ্যাটে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি ভাবার মতো। গণ যোগাযোগ মাধ্🉐যমের বোধহয় এটাই সমস্যা, সবাইকে এক সূত্রে বাঁধার চেষ্টা করে, কিন্তু শেষমেশ সূত্রটির সলিলসমাধি ঘটে।
মান অভিমান কি আফসোসের অভিসার?
কত সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় কিংবা ছেদ চিহ্নে থমকে দাঁড়ায়। ‘কেন’র উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে কোনও পুরনো বাড়ির সাবেকি গন্ধের মতো পুরনো মান-অভিমান মন খারাপের পাহাড় বানিয়ে রেখেছে। তার ফলে সময় আছে, সুযোগ আছে, হয়তো ইচ্ছেও। কিন্তু তা ꦚসত্ত্বেও যেন মনে হয়🔯, কেন কথা বলব! তাই জীবনযাপনের যাত্রায় অনেক কথোপকথন শুরুই হয় না। তার পরে যখন সময় পেরিয়ে যায়, তখন শুধুই দীর্ঘশ্বাস। তাই সবার আগে পেরোতে হবে মান অভিমানের সিড়ি। যা মেটানোর এই জীবনেই করে নিতে হবে।
এই প্রজন্ম বড্ড বেশি বꦚিশ্বাস করে ছবিতে, ভিডিয়োয়। এরকম কত মুহূর্ত যেন ফ্রেমবনཧ্দি হতে থাকছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে, কিন্তু কথা বড্ড কম। মত বিনিময়ের অভাবে একপেশে অসহনসীলতা তৈরি করছে ভয়ঙ্কর সমাজে। যেখানে নিজের জন্য শুধু একরাশ ‘লাইক’ আছে আর বিপদে দেহরক্ষী থাকে শুধু একাকিত্ব। এই একাকিত্বের সবচেয়ে বড় যম আবার কথোপকথন। দুই বাক্য বিনিময় যদি জীবনের রংমিলন্তি আনতে পারে, তাতে মন্দ কি?