বাসে চড়লেই বমি হয়? ভয়ে বাসে উঠতেই চান না❀? এই সমস্যা আপনার একার নয়। আমাদের অনেকেই এতে ভোগেন। কিন্তু কীভাবে যে মুক্তি মিলবে, তা বুঝতে পারেন না। এদিকে এর জন্য লজ্জায় পড়ে যান।
শুধু তো বমি নয়। তার সঙ্গে গা গোলানো, ম🐈াথাব্যাথা, মাথা ঘোরানো ভাব এসে যায়। বাসে-গাড়িতে চড়লেই মোশান সিকনেস জাঁকিয়ে বসে কারও কারও। আপনারও কি এমনটা হয়? লজ্জা পাবেন না। এই সমস্যা সত্যিই কষ্টে♌র। তবে কিছু জিনিস ট্রাই করলে সমাধানও পাবেন।
তার আগে জানুন, মোশান সিকনেস কেন হয়?
শরীরের গতি-সংবেদনকারী অংশগুলি মস্তিষ্কে তথ্য প্রেরণের কার🌊ণে এমনটা হয়। মস্তিষ্ক এতে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ফলে স্থির বা গতিশীল পরিস্থিতি ব্রেন প্রসেস করতে পারে না। তার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বমি হয়ে যায়।
উপায় কী?
পুষ্টিবিদ পূজা মাখিজা তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে কিছু টিপস শ🌸েয়ꩲার করেছেন। কী সেই টিপস?
মোশান সিকনেস থেকে মুক্তির উপায়:
- পেট ভরে খাওয়া এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত ভর্তি পেট এবং মশলাদার খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এটি এমনিতেই আরও বেশি বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। তাই গাড়িতে যাত্রার আগে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- মুখশুদ্ধি, পেপারমিন্ট ব্যবহার করুন: মুখশুদ্ধি, পেপারমিন্ট বা আদা বমি বমি ভাব এবং বমি করার প্রবণতা কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- চুইয়িং গাম: অনেকের ক্ষেত্রে গাম চেবালে বমি ভাব কম আসে।
- লিকোরিস রুট: যাত্রার আগে এক গ্লাস জলে ৭৫ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট হিসাবে লিকোরিস রুট বা মুলেথি নিন।
যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভ্রমণের প্রয়োজন হয়, তাহলে নিরাময়ের ❀জন্য ১০০ মিলিগ্রাম লিকারিস রুট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে যে কোনও ওষুধ নেওয়ার আগে একবার চিকিত্সকে𒈔র পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।
সব শেষে
এর একটা মানসিক দিকও রয়েছে। তাই গাড়ি, বাসে উঠেই বমি হবে, এমন আশঙ্কা শুরু করে দꩲেবেন না। মন হালকা রাখুন। চেষ্টা করুন এ বিষয়ে না ভাবার।