ভারত বিশ্বের প্রথম পোর্টেবল বিপর্যয় হাসপাতাল চালু করেছে যা 'আরোগ্য মৈত্রী কিউব' নামে পরিচিত। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাসপাতালকে যেকোন দুর্যোগগ্রস্ত জায়গায় মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যেই স্থাপন করে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। এর সমগ্র ওজন ৭২০ কেজি এবং ৭২টি কিউব করেꦗ সহজেই এয়ারলিফট করা যায়, যা হেলিকপ্টার থেকে ফেলার পরেও অক্ষত অবস্থায় থাকে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। এই প্রকল্পটি ভারত সরকারের BHISHMA প্রকল্পের অধীনে।
গত বছর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভীষ্ম প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলে🌃ন, এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল। এর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল তন্ময় রাই বলেন, 'এটি এমন একটি দুর্যোগ হাসপাতাল, যেখানে এক্স-রে, রক্তের নমুনা পরীক্ষা, ভেন্টিলেটর ,অপারেশন থিয়েটার থেকে ল্যাবরেটরি সমস্ত রকমের সুবিধা রয়েছে'। তিনি আরও বলেন, 'ভারতের দুর্যোগ হাসপ𒈔াতাল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অনন্য মডেল, যা অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে সৌর শক্তি এবং ব্যাটারির সাহায্যে পরিচালিত হয়।।’
এই বিশেষ ভাবে নির্মিত খাঁচা ৩৬টি মিনি-কিউব ধারণ করতে পারে যাতে ১০০ জনের দুই দিনে জন্য বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত থাকে। এই কিউবগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য এই যে, এগুলি ৪০ জন গুলিবিদ্ধ রোগী, ২৫ জন গুরুতর রক্তক্ষরণ যুক্ত রোগী, ২৫ জন আগুনে আক্রান্ত রোগী এবং ১০ জন মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সক্ষম। প্রতিটি বাক্সের ভিতরে ভারতে তৈরি ওষুধ, সরঞ্জাম এবং খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। পেইন অ্যান্টিবায়োটিক কিট, শক কিট, চেস্ট ইনজুরি কিট, এয়ারওয়ে কিট এবং ব্লিডিং কিট মজুত থাকার ফলে কোনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকার মানুষদেরকে সহজেই প🍸রিষেবা দেওয়া যাবে।
এই ধরণের একটি হাসপাতাল তৈরি করতে খরচ হয় আনুমানিক দেড় কোটি টাকা। তিনটি দেশক💎ে এই হাসপাতাল বিনামূল্যে দেবে ভারত সরকার। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই মায়ানমারকে দুটি আরোগ্য মৈত্রী কিউব দান করেছꦬে একটি শ্রীলঙ্কাকে অনুদানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।