ইতিমধ্যেই ভারতের বিভি💜ন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে ব্রেন ইটিং অ্যামিবা। ইতিমধ্যেই কেরালা রাজ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সাধারণত নাকের মাধ্যমে এটি শরীরে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্কে গিয়ে গুরুতর প্রভাব বিস্তার করে। এটি এমন একটি মাইক্রোস্কোপিক অ্যামিবা, যা সাধারণত চ🌸োখে দেখা যায় না।
এই ভাইরাস মূলত সুইমিং পুল, উষ্ণ প্রস্রবণ,হ্রদ বা নদীতে দেখতে পাওয়া যায়। যে সমস্ত মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার পরেই ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হন। কিছুদিন আগেই কেরালার এক পাঁচ বছরের শিশু কন্যার 🎃মৃত্যꦜু হয় এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবার সংক্রমণের দ্বারা।
(আরও পড়ুন: অলিম্প💎িক্সের উদ্বোধনে হাজির ‘নীল মানব’! কে এই গায়ক? অদ্ভুত সাজের কারণটাই বা কী)
এবার কোঝিকোড জেলার এক ১৪ বছর বয়সী ছেলে আক্রান্ত হল এই অ্যামিবার দ্বারা। তবে সৌভাগ্যবশত এই ছেলেটি ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচি𒆙য়ে আনতে পেরেছে। ১৪ বছর বয়সী এই ছেলেটি বিশ্বের ১১ তম এমন ব্যক্তি, যিনি কিনা এই মারাত্মক রোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে এসেছেন হাসিমুখে।
এই প্রসঙ্গে এইচডি লাইফ স্টাইলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ডক্টর শীতল গোয়াল বলেন, ‘ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ হয়ে যায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণগুলি এতটাই সাধারণ থাকে যে মানুষ গুরুত্ব দিতে চায় না। যদি প্রথমেই রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সম্ভ🐭ব হয় তাহলে বেঁচে যাওয়ার সুযোগ থাকে ৯৭ শতাংশ বেশি।’
(আরও পড়ুন: শিশুর টিফিনে দিন দক্ষিণের ছোঁয🦄়া, বানিয়ে ফেলুন এই তিন ধরনের ইডলি)
প্রাথমিক পর্যায়ে এই অ্যামিবায় আক্রান্তের পর মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব ঘাড় শক্ত হয♎়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। তবে অবস্থা শোচনীয় হলে বিভ্রান্তি, খিচুনি অথবা হ্যালুসিয়েশন হতে পারে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে রোগীর কোমাতেও চলে যেতে পারে। লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার ১ থেকে ১৮ দিনের মধ্যেই রোগী মারা যায়, সাধারণত ৫ দিন পর রোগী কোমায় চলে যায়। বোঝাই যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি এই ভাইরাস সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হল সুইমিং পুল, হ্রদ, নদী থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা। মিঠা জলে সব থেকে বেশি এই ভাইরাস থাকে তাই নদী বা সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার পরেই সবথেকে বেশি এই ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এছাড়াও ছোটখ🧸াটো যে কোনও শারীরিক সমস্যা হলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টাཧ করুন। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা হয়ে গেলে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটাই।