কালিকাপুর রাজবাড়ি বর্ধমান শহরের খুব কাছেই অবস্থিত। দুই জায়গার দূরত্ব মাত্র ৬৫ কিলোমিটার।🐠 কালিকাপুরে অবশ্য দুর্গাপুর থেকেও আসা যায়। দুর্গাপুর এবং কালিকাপুরের দূরত্ব হল ৩২ কিলোমিটার। আর এই কালিকাপুর রাজবাড়ির এই দুর্গাপুজো হচ্ছে ৪০০ বছরের পুরনো। আর এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রচুর ইতিহাস।
এই রাজবাড়ির পুজোকে সকলে সাত ভাইয়ের পুজো বলেই চেনে। পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত আউশ গ্রামের এই কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজোর সঙ্ꦍগে জড়িয়ে আছে নানান লোকগাঁথা।
বর্ধমান রাজꦍার দেওয়ান ছিলেন প🌄রমানন্দ রায়। তিনি ৪০০ বছর আগে দেওয়ান ছিলেন রাজবাড়ির। রাজার সুনজরে পড়ায় তিনি কাঁকসার এক বড় অঞ্চলের জমিদারিত্ব পান। তখন তিনি সেখানে সমস্ত জঙ্গল, ইত্যাদি কেটে বাড়ি বানিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন। তিনিই সেখানে তৈরি করেন দুর্গামন্দির থেকে পুকুর, বাগান, সমস্ত কিছুই। পরবর্তীকালে এই বাড়ি কালিকাপুর রাজবাড়ি নামে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু একটা সময়ে এখানে সাতজন ভাই মিলে একত্রে পুজো করতেন বলে সকলে এই পুজোটাকে সাত ভাইয়ের পুজো বলেই চেনে।
এ𝓰খানে একটি আটচালা মণ্ডপে পুজো হয় জার তিনদিক ঘেরা। অতীতের সমস্ত রীতিনীতি মেনেই এখনও পুজো হয়ে থাকে এখানে। তবে সেই জৌলুস খানিকটা হারিয়েছে। কৃষ্ণনবমীতে পাঁঠাবলি দিয়ে দেবীর বোধন করা হয় এই পুজোতে। এছাড়া পুজোর মধ্যেও তিনদিন বলি দেওয়ার প্রথা আছে এই বাড়িতে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত বলি হয় এই রাজবাড়িতে। আগে অবশ্য নবমীতে বলি হতো, সেদিন মহিষ বলি দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কালিকাপুর রাজবাড়ির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত, কিন্তু নামে হয়তো চিনি না। এই বাড়িতে একাধিক ছবির শ্যুটিং হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গয়নার বাক্স, গুপ্তধন রহস্য, ইত্যাদি। এমনকি খণ্ডহর ছবি যা মৃণাল সেন পরিচালনা করেছিলেন ꦆসেটার শ্যুটিংও হয়েছিল। অভিনয় করেছিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি।
এই বাড়ির আনাচে কানাচে রয়েছে একাধিক ই𒆙তিহাস। স্থানীয় মানুষজন জানেন এই বাড়ির মাহাত্ম্যের কথা। পুজোর কটাদিন গ্রামের সমস্ত মানুষ এই পুজো 🔜দেখতে আসেন। এখনও সেখানে গেলেই সাত ভাইয়ের পুজোর গল্প শোনা যায়।