এক ঘণ্টা বা কয়েক দিন নয়। টানা আট বছর ধরে জরায়ুতে টর্চ নিয়েই কাটিয়েছেন তরুণী। বছর ২৩ এর ওই তরুণীর ঘটনা শুরু ১৫ বছর বয়সে। বয়ঃসন্ধির সময় তিনি প্রবল যৌন বাসনার কবলে পড়ে একবার জরায়ুতে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন ছোট্ট একটি টর্চ। হাত ফℱসকে তা জরায়ুতে ঢুকে যাওয়ার পর তা তিনি কাউকে লজ্জায় বলতে পারেননি। এরপর বিয়ে হয়। কেটে যায় ৮ বছর। শেষে প্রাণে রক্ষা পান তিনি কলকাতার এক হাসপাতালের চিকিৎসায়।
এনআরএসের নারী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রুণা বলের কাছে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন মহিলা। এদিকে ততদিনে আট বছর কেটে গিয়েছে। ধীরে ধীরে ঋতুস্রাবের মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়েছে তরুণীর শরীরে। জরায়ু দিয়ে দলা পাকিয়ে বেরিয়ে আসত মল। চিকিৎসক বলছেন, তরুণীর জরায়ুর সঙ্গে পায়ুদ্বার জুড়ে গিয়েছিল। তখনই দেখা যায়, ৫ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৩ সেন্টিমিটার চওড়া টর্চ জরায়ুর মধ্যে। প্রাণঘাতী শারীরিক জটিলতায় ভোগার পর তিনি শেষে রক্ষা পেলেন কলকাতার এনআরএস-এর নারীরোগ বিভাগের চিকিৎসায়। এরপর চিকিৎসক রুণা বল, ড. মানব সরকার, ড. দেবানন্দরা এই তরুণীর অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। চলে জটিল অস্ত্রোপচার। শেষে চিকিৎসক রুণা বল বলছেন, তরুণীর নতুন বিয়ে হয়েছে, তবে জরায়ু বাঁচানো গেল না। টর্চ জরায়ুর অনেকটাই ভিতরে প্রবেশ করে যায়। দোকানে টপাটপ জিনিস তোলা-রাখার কাজ করছে এই ꦇরোবোট! যেকোনও ‘একঘেয়ে’ কাজে পটু এরা
উল্লেখ্য, অনেকেই বলছেন এই প্রাণঘাতী কাণ্ডে সঠিক স্বাস্থ্য সম্পর্কীয় শিক্ষার অভাবই মূল কারণ। বহু বিಌশেষজ্ঞ বলছেন, ছোটদের হাতে খুব কম বয়সে স্মার্টফোন এসে যাওয়াতে এই বিপদ আরও বাড়ছে। সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অপরিণত মস্কিষ্কদের আনা꧙গোনা বেড়ে যাওয়ার তারা অজান্তে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে। এদিকে, চিকিৎসকরা এই তরুণীর অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সুস্থতা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আরও এক বছর লাগবে তরুণীর সুস্থ হতে। পুরো বিপদ কাটেনি। আরও ২ টি অস্ত্রপোচার বাকি। তবে প্রাথমিক এই অস্ত্রোপচারে কার্যত মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে এলেন তরুণী।