কুষ্ঠরোগে🥂র ব্যাকটেরিয়া মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি। কীভাবে ছড়ায় এই ব্যাকটেরিয়া? বিজ্ঞানীﷺদের কথায়, বড় ইঁদুরের মতো একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী আর্মাডিলো এই ব্যাকটেরিয়ার বাহক। নয়টি স্তরের ত্বকবিশিষ্ট এই প্রাণীর থুতনি বেশ লম্বা। বিজ্ঞানীদের কথায় এর থেকেই এই প্রাণীর মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে কুষ্ঠের ব্যাকটেরিয়া।
কুষ্ঠ একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রামক রোগ। এর ব্যাকটেরিয়া ত্বক, স্নায়ু এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে আক্রমণ করে। শেষে রোগীর দেহে সাদা সাদা ছোপ, অসাড়ভাব, পেশি দুর্বলতা দেখা যায়। মারাত্মক ক্ষেত্রে পক্ষাঘাতের রোগীকে দিকে ঠেলে দেয়। সময় ধরে পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ অব্দেও এই রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই প্রাচীন রোগ সম্পর্কে অনেক কিছু আজও রহস্যজনক রয়ে গিয়েছে। কেউ জানে⛄ না কীভাবে কুষ্ঠ রোগের উৎপত্তি হয়েছে। কেনই বা বিশ্বের কিছু অংশে মানুষ অন্যদের তুলনায় এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানেন না এটি কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়। তাছাড়াও কারও শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তা জানারও সহজ কোনও উপায় নেই।
মূলত দক্๊ষিণ আমেরিকার বাসিন্দা আর্মাডিলো। এখন মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ উত্তর আমেরিকা জুড়েও এদের খোঁজ পাওয়া 🃏যায়। মূল খাদ্য পোকা। প্রতি বছর দুই লাখ নতুন কুষ্ঠ রোগীর জন্য ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি ব্রাজিলও দায়ী। ব্রাজিলে আর্মাডিলো মাংসের জন্য শিকার করা হয়। গবেষকদের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, শিকারিদের হাতে নিহত আর্মাডিলোগুলির ৬২ শতাংশ কুষ্ঠ রোগের ব্যাকটেরিয়াতে সংক্রামিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০ শতাংশ প্রাণীর মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে।
ম꧂ার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই প্রাণীদেরই দায়ী করা হয়েছ💖ে। তবে এরপরেও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আরমাডিলো মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়ানোর পিছনে কতটা দায়ী তা এখনও অস্পষ্ট। তবে অনেক বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৫০০বছর আগে ইউরোপীয়রা যখন ব্রাজিলে আসে।তখন এই রোগটি নিয়ে আসে। মানুষ থেকেই কী আর্মাডিলোতে ছড়িয়েছে ব্যাকটেরিয়া? এই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি।
কেন কুষ্ঠ রোগ এত রহস্যময়?
ওষুধ সংস্থা নোভারটিসের গ্লোবাল প্রোগ্রাম প্রধান গঙ্গাধর সুনকারা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান ‘এটি একটি অত্যন্ত জটিল রোগ। কুষ্ঠরোগ সম্পর্কে অনেক কিছু আজও ধাঁধা। তাঁর কথায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, এই রোগটি নিয🍌়ন্ত্রণে বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও, বিশ্বব্যাপী এখনও ত্রিশ লাখ মানুষ কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়। গড়ে প্রতি বছর ২ লাখ নতুন আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়।’
২০২০ সালে, এই সংখ্যা ১২৮০০০-তে নেমে এসেছিল। অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্যের এমেরিটাস অধ্যাপক কেয়ার্নস স্মিথ বলেছেন 𝕴, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছর কোভিডের কারণে ১৪০০০০ কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শনাক্তরণ করা হয়নি। এতে আশঙ্কা বাড়ছে বিশেষজ্ঞদেরও।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্🥀ক