প্রাক্তন রেসলার এরিকা হ্যামন্ডকে বিয়ে করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিলিয়নেয়ার অঙ্কুর জৈন। আমেরিকার 'বিল্ট রিওয়ার্ডস'-এর বিলিয়নিয়ার প্রতিষ্🅘ঠাতা এবং সিইও হলেন অঙ্কুর জৈন। ওয়া🦂শিংটনে বড় হয়েছেন অঙ্কুর, যেখানে তাঁর বাবা নবীন জৈন মাইক্রোসফ্ট সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে প্রযুক্তি নির্বাহী ছিলেন। অন্যদিকে, এরিকা বর্তমানে 'ইকুইনক্স'-এ 'নকআউট'-এর প্রতিষ্ঠাতা।
- অঙ্কুর জৈন এবং এরিকা হ্যামন্ড মিশরে বিয়ে করেছেন
অঙ্কুর জৈন এবং ডব্লিউডব্লিউই এর প্রাক্তন রেসলার এরিকা হ্যামন্ড সম্প্রতি পিরামিডের দেশ মিশরে বিয়ে করেছেন। তাঁদের গ্র্যান্ড মিশরীয় বিবাহের ছবিগুলির একটি সিরিজও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দম্পতি মিশরে ১৩০ জন অতিথিকে চার দিনের অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মিশর বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাহি হাওয়াস ছিলেন অঙ্কুরের অতিথির তালিকায়, তিনি তাঁর পারিবারিক বন্ধুও। এছাড়াও অঙ্কুর জৈন এবং এরিকা হ্যামন্ডের জমকালো মিশরীয় বিবাহে ল্যান্স বাস এবং মাইকেল টার্চিন, রবি𝓀ন থিক এবং এপ্রিল লাভ গেরি, কেভিন ও'লিয়ারি এবং লিন্ডা ও'লেরি, প্রভাবশালী সেরেনা কেরিগান, টেক্সাসের প্রাক্তন গভর্নর রিক পেরি এবং অনিতা সহ পেরি, ব্রায়ান কেলি সহ, এবং অসংখ্য রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ব্যক্তি💎ত্ব এসেছিলেন।
- একেই বলে 'স্বপ্নের বিয়ে'
সূর্যাস্তের কিছু আগে গোধূলি লগ্নে গিজার পিরামিডের গোড়ায় স্ফিংসের সামনে সাত 🍒জন্মের ডোরে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। 'পিপল ম্যাগাজিন'-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কুর জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি মহাকাশে গিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর কনে এতে রাজি হননি। বলেছিলেন, আমি আমার বিয়ের দিন মরতে চাই না। প্রাক-বিবাহ উদযাপনগুলি বিবাহের মতোই জমকালো ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন রাতের সাফারি দিয়ে শুরু হয়েছিল, একটি রাতের জন্য ২০০০ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিল। এরপর দম্পতি মিশরে গিয়ে চার দিনের পার্টির আয়োজন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যভাবে বিয়ে: বিয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, অঙ্কুর বলেছিলেন যে তিনি প্রথম পারিবারিক ছুটিতে মিশরে গিয়ে, প্রাচীন সমাধিগুলির পিছনের ইতিহাস সম্পর্কে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। এইভাবে, মিশরীয় পিরামিডই হয়ে ওঠে তাঁদের বিয়ের ভেন্যু। প্রতিবেদন অনুসারে, এই দম্পতির বিয়ে আর পাঁচটা ট্র্যাডিশনাল বিয🐬়ের থেকে আলাদা ছিল এবং সেখানে কোনও ব্রাইডমেইড বা বরের বন্ধুও ছিল না, কোনও বিয়ের কেক কাটার মুহূর্ত বা টোস্টও ছিল না। পুরো জায়গাটি স্থানীয় মিশরীয় ফুল এবং পাতা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল।
অনন্যভাবে অতিথি সেবা: কায়রোর মোহাম্মদ আলী প্রাসাদে তাঁদের ১৩০ জন অতিথির জন্য গভীর রাতে 'ম꧅ডার্ন কায়রো' থিমযুক্ত অভ্যর্থনা পার্টি রাখা হয়েছিল। এতে বেলি ড্যান্সার, ফায়ার ড্যান্সার এবং আরব হাউস মিউজিকের একজন ডিজেকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও অতিথিদের জন্য একটি কেনাকাটাযোগ্য বাজারও ছিল। তারপর, তাঁদের জন্য পিরামিড এবং স্ফিংক্সে একটি ব্যক্তিগত ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অবশেষে তাঁদের ডি-ডে-তে, যেখানে অঙ্কুর এবং এরিকার বাবা-মা এসে বেহালাবাদক লিন্ডসে স্টার্লিং এড শিরানের 'পারফেক্ট'-এ পারফর্মও করেছিলেন।
ভারতীয় ডিজাইনারের তৈরি বিয়ের সাজপোশাক: বিয়ের জন্য, অঙ্কুর একটি সাদা শার্টের সঙ্গে একটি কালো টাক্সেডো পরেছিলেন। বিখ্যাত ভারতীয় ডিজাইনার রাহুল মিশ্রের সংগ্রহের শোস্♊টপিং গাউনে এরিকাকে খুব সুন্দর লাগছিল। এরিকার ব্রাইডাল গাউনের কোমরের চারপাশে ফুলের প্যাটা𝔍র্নে সোনালি অলঙ্করণ ছিল। খোলা চুল, গ্ল্যাম মেকআপ এবং হীরার গহনা দিয়ে তিনি বিয়ের লুক ক্রিয়েট করেছিলেন। ভারতীয় ডিজাইনারের গাউন পরা প্রসঙ্গে এরিকা জানিয়েছেন, আমার বাগদত্তার ভারতীয় সংস্কৃতি, প্রাচীন মিশরীয় সংস্কৃতি এবং পশ্চিমা ঐতিহ্য উদযাপন করা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু আমরা ভারতীয় বিয়ে করছিলাম না, আমি ক্লিওপেট্রার অনুভূতি সহ কিছুটা ভারতীয় অনুপ্রেরণা চেয়েছিলাম।
- অঙ্কুর ও এরিকার প্রেমও ছিল রূপকথার মতো
অঙ্কুর এবং এরিকার প্রথম দেখা হয়েছিল, যখন অঙ্কুর রাম্বল বক্সিংয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের প্রথম দেখায় সেভাবে কথা বলেননি। এবং তারপরে একই ওয়ার্কআউট ক্লাসের জন্য সাইন আপ করার কয়েক দিন পরে তাঁদের আবার দেখা হয়েছিল। অঙ্কুর স্মরণ করেছেন কীভাবে তিনি এরিকাকে নিজের ওয়ার্কআউট পার্টনার হিসাবে পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা মজার ছিল কারণ এরিকা স🧸্বাভাবিকভাবে ক্লাস নিচ্ছিলেন। আমি সেক্ষেত্রে উপযুক্ত কেউ ছিলাম না, তাই সম্ভবত এরিকাকে ওয়ার্কআউট পার্টনার হিসাবে পাওয়াও চাপের ছিল। পিছনে তাকিয়ে আমি বললাম, 'কেন আপনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে ওয়ার্কআউট করতে চান না?' পরে তিনি এরিকার মিষ্টি আচরণে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এরিক তখন মেকআপও করেননি। ওয়ার্কআউটের পোশাক পরেছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবেই ঘামে সম্পূর্ণ ভিজেছিলেন। আর এইভাবেই এরিকাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন অঙ্কুর। এরিকার কথায়, তাই আমি জানতাম যে যাই হোক না কেন, সে আমাকে ভালোবাসবে।
এভাবে ধীরে ধীরে তাঁদের বন্ধুত্ব হয়। যাইহোক, অঙ্কুর এবং এরিকা করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পরপরই ফেসটাইম চ্যাটে কয়েক মাস কাটিয়েছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে ডেট করতে পারেনি, কিন্তু অনলাইনেই তাঁরা দিনে দিনে আরও ঘনিষ্ঠ൲ হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন, ভালোবেসে ফেলেছিলেন এবং অবশেষে ২৬ এপ্রিল ܫ২০২৪-এ এসে ভালোবাসা পরিণতি পায় তাঁদের। বিয়ে করেন অঙ্কুর ও এরিকা।