১৭ বছরের মহেশ সিং এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁর একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে যা সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে। ছত্তিশগড়ের কি🎉শোর মহেশ বাম পা দিয়ে লিখতে বেশ পটু। শুধু তাই নয়, সেভাবেই এবারের পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। সুরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে থাকেন মহেশ। ছোট থেকে একটি জটিল রোগের কারণে কোনও হাতই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারে না। সেই থেকে বাম পা ভরসা। ক্লাস ওয়ান থেকেই বাম পায়ের সাহায্যেই চলছে তাঁর পড়াশোনা। ফোকোমিলিয়াতে (এই রোগে হাত-পা ঠিকমতো গড়ে ওঠে না) আক্রান্ত কিশোরটির চোখে ছোট থেকে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। তাই পড়াশোনাতেও বেশ মনোযোগী তিনি।
আরও পড়ুন: ডিম কিনে এনেই ফ্রিজে রাখেন? ডেকে আনছেন বড় বিপদ
আরও পড়ুন: রোজ ঘুমের আগে এগুলি করেন? অজান্তেই বড় বড় রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে
সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা আমাকে উৎসাহিত করেন। আমার ভাইয়েরা খেতে চাষ করেন। তাঁদের দেখেই আমার মনে হয়, আমার জ𒐪ীবনে কিছু করা উচিত।’ আরেক প্রশ্নের উত্তরে মহেশ বলেন, তাঁর পরীক্ষাগুলি বেশ ভালোই হয়েছে। মোটামুটি ৭০ শতাংশ নম🐻্বর উঠবে বলেই তাঁর আশা। লিখতে গিয়ে কোনও অসুবিধা হয় না? মহেশ বলেন, ‘একটানা লিখতে থাকলে পা খুব ব্যথা করে। তবুও, বেশিরভাগ সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখা শেষ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: কয়েক বছর পর আর হয়তো দেখতেই পাবেন না, পৃথিবী থেকে চিরতরে ফুরোচ্ছে এই ৫ জিনিস
আরও পড়ুন: ইয়াব্বড় ফাটল আফ্রিকার মরুভূমিতে, দু’ভাগ হয়ে যাবে মহাদেশ! আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
লেখা নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হওয়ার পাশাপাশি হাতের লেখাও দুর্দান্ত হয়, সে কথা আর নিজে মুখে বলেননি লাজুক কিশোর। তাঁর কথায়,‘আমি👍 যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি হিন্দি স্কুলের শিক্ষক হতে চাই। আমার মা ষাটোর্দ্ধ বয়স্কা। চাকরি পেয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াতে চাই। আশা করছি, সরকার আমাকে কিছুটা সাহায্য করবে।’
পড়াশোনার পাশাপাশি মাকে খেতে চাষের কাজেও সাহায্য করেন মহেশ। মহেশের স্কুল ভগবানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আশা কুজুর বলেন, ‘মহেশ শুধু স্কুলের গর্ব নয়, সারা দেশেরই গর্ব। একটু লাজুক ছেলে ও, বেশি কথা বলে না। স্কুলের তরফে যতভাবে সম্ভব, ওকে 🔯সাহায্য করা হয়।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক