অনেকেই আছেন যাঁদের পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। একটু গোলমাল হলেই বারবার বাথরুম আর ঘর করতে করতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ তো আবার বোঝেনই না, তাঁদের পেটের সমস্যা হওয়ার পিছনে ঠিক কী কারণ আছে। একগাদা ওষুধ দোকান থেকে কিনে এনে খেয়ে নিয়ে নিজেরাই ডাক্তারি ফলান। তবে, আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর একটু কড়া নজর দিলেই বুঝতে পারবেন পেট খারাপের আসল কারণ।একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার অভ্যাস না থাকলে এই সমস্যা হবেই। দিনের নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠুন। তারপর সময়মতো ব্রেকফাস্ট করে নিন। লাঞ্চ আর ডিনারের সময়ও থাক বাধাধরা। ঘুমোতে যেতে দেরি করলেও চলবে না কিন্তু। যখনই আপনি নিজের জীবন একটা নির্দিষ্ট রুটিনে নিয়ে আসবেন, দেখবেন সময় মতো খাওয়া-দাওয়া করছেন। যার ফলে পেটে গ্যাস হচ্ছে না। কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।জল ঠিকমতো না খেলে কিন্তু পেটের সমস্যা হবেই। শুধু তাই নয়, কম জল খেলে শরীর শুষ্ক হয়ে গিয়ে আরও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এবার থেকে প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল অবশ্যই খান। অনেকেই আছেন রোজ বাইরের খাবার খান। হয় অনলাইনে খাবার অর্ডার করেন অথবা অফিস থেকে ফেরার পথে কোনও তেলেভাজা, রেস্তোরাঁ, ফুচকার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পেটপুজো সেরে আসেন। রোজ তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলে যতই ওষুধ খান, পেট খারাপ সারবে না। পেট খারাপের একটা বড় কারণ হতে পারে ইমিউনিটি ক্ষমতা কম থাকা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ব্যাক্টেরিয়া খুব সহজেই বাসা বাঁধে শরীরে। তাই ঋতুকালীন সবজি ও ফল অবশ্যই খাবেন। এগুলো আপনার ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। সঙ্গে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন যদি পেটের সমস্যা বেশি হয়। নিজে কিনে, বা মেডিসিনের দোকানের বিক্রেতার কথায় ওষুধ না খাওয়াই ভালো।