রণবীর ভট্টাচার্য
শুক্রবার হলেই সিনেমা রিলিজ করবে। ভারতের মতো সিনেমা পাগল দেশে সেটাই নিয়ম। কিছু সিনেমা সপ্তাহের পর সপ্তাহ পেরিয়ে ইতিহাস তৈরি করে, আর বেশির ভাগ একটু দেখা দিয়েই ভ্যানিশ হয়ে যায়। বর্শালি ভট্টাচার্য্যের নির্দেশিত ‘কুলপি’ দুটোর একটাও নয়। এমন অবশ্যই নয় যে বামন নিয়ে সিনেমা কোনও দিন হয়নি বাংলা সিনেমায়। কৌশিক গাঙ্গুলির জাতীয় পুরস্ক♏ারপ্রাপ্ত ছোটদের ছবি এখনও সুখস্মৃতি অনেকেরই কাছে। তবে কুলদীপ রায়চৌধুরী ওরফে কুলপির জীবন কাহিনি যেন মন কেড়ে নেয়।
খুব যে নামী অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন এমন নয়— বড়পর্দার নামী চরিত্রাভিনেতারা এই সিনেমার সম্পদ। রজ🐭তাভ দত্ত, চুমকি চৌধুরী, বিশ্বনাথ বসু আর অবশ্যই নায়িকা চরিত্রে পায়েল সরকার নিজেদের ভূমিকায় যথাযথ। ছোট্ট অথচ সুন্দর ঠাকুমার চরিত্রে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় যেন জিয়া নস্টাল একাকার করে দিয়েছেন বড় পর্দায়। গল্পের মধ্যে অকারণ দেখনদারি নেয়। বাঁকুড়ার মাঠঘাট উঠে এসেছে ক্যামেরায়। তবে একটা আফসোস-সিনেমাটোগ্রাফার ভারাক্রান্ত করেছেন সিরিয়ালের মতো ফ্রেম নিয়ে। যেখানে আশেপাশে এত সুন্দর প্রকৃতি কেউ কি এই সুযোগ🌳 ছাড়তে পারে?
বাবা, সৎ মা আর সৎ ভাইয়ের পরিবারে বিচ্ছিন্ন কুলপির 💛জীবনে কঙ্কনা আসে উতলা হাওয়ার মতো। বন্ধুত্ব যে কখন একতরফা ভালোবাসায় রূপ পায়, নিরীহ, শান্তশিষ্ট কুলপি বুঝতেও পারে না। এদিকে সার্কাসের ম্যানেজার হিলটনের ভীষণ দরকার একজন বামন, জোকারের জন্য। কিন্তু বাবা কি আর নিজের ছেলেকে এই কাজে ঠেলে দিতে পারে? এদিকে হিলটন নাছোড়বান্দা। কঙ্কনা কি পারবে কুলপিকে ভয়ঙ্কর হিলটনের থেকে বাঁচাতে? কঙ্কনা আর কুলপির অসম প্রেম কি বাধা বিপত্তি ছাড়া এগোতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানতে হলে অবশ্যই কুলপি দেখতে হবে!
বড় বাজেট, ভিএফএক্স, মারকা🐠টারি অ্যাকশন কিংবা পাহাড়ের ঝর্নার নিচে প্রেম— অনেক কিছুই বড়পর্দার কুলপির জীবনে নেই। তবে তাই বলে কোন অংশে আন্তরিকতার অভাব নেই সিনেমায়। এখানেই বোধহয় প্রত্যয় ঘোষ ওরফে হাসিখুসি কুলপির সাফল্য।