বিভিন্ন স্কুল কলেজে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন তাঁকে স্মরণ করার মাধ্যমে পালিত হয়। এদিন নেতাজিকে নিয়ে কিছু বౠক্তব্যও রাখতে হয় অনুষ্ঠানে। তারই হদিশ থাকছে এই প্রতিবেদনে।
নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু কথা
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান অপরিসীম। এদেশের আট থেকে আশি তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। দেশকে পরাধীনতার অন্ধকার থেকে মুক্তি দিতে প্রাণপ্রণ লড়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান। সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, ওড়িশার কটক শহরে। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ও মাতা প্রভাবতী দেবী। মেধাবী ছাত্র সুভাষ কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট🥃 স্কুল থেকে প্রথমে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে বিলেতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন সুভাষ।
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পা🌸শ করে দেশে ফিরে এসেছিলেন সুভাষ। কিন্তু ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি? গ্রহণ করলেন না তিনি। চাকরির বদলে বরং দেশকে ইংরেজদের কবল থেকে মুক্ত কর༺তে স্বাধীনতা আন্দোলনে যােগ দিলেন।
অল্পদিনের মধ্যেই সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দুবার কংগ্রেসের সভাপতিও নির্বাচিত হন। এরপর একবার কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন সুভাষ🔴। ইংরেজ সꦛরকার তাঁকে বাড়িতে নজরবন্দি করে রেখেছিল। তবে ঠিক সময় ছদ্মবেশ ধরে পালিয়ে যান তিনি। তখন ১৯৪১ সাল। প্রথমে জার্মানিতে, সেখান থেকে পরে জাপান চলে যান বঙ্গ বীর।
জাপানে রাসব🎃িহারী বসুর সঙ্গে যােগ দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেই প্রথম সকলের কাছে নেতাজি হয়ে উঠলেন সুভাষ। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বাহিনী নিয়ে উত্তর -পূর্ব ভারতের মণিপুর দখল করে সেখানে ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেন।
কিন্তু আরও এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি নামে। এছাড়াও রসদের অভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজকে হার মানতে হয়। নেতাজ🅠ি গঠিত আজাদ হিন্দ সরকারের পতনের পর থেকে তাঁর আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
কেউ কেউ 𓃲মনে করেন বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ২০০৬ সালে মুখার্জি কমিশন প্রমাণ করে ওই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি। এছাড়াও জাপানের রেনকোজী মন্দিরে রাখা চিতাভষ্ম আসলে নাকি নেতাজির চিতাভস্ম নয়। তিনি অন্তর্হিত হলেও তাঁর দৃপ্ত বক্তব্য আজও তরুণদের উদ্দীপ্ত করে। তার বিখ্যাত বাণী, 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব' গোটা দেশের স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে অন্যতম দৃপ্ত বাক্য। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে অসংখ্য শ্রদ্ধার্ঘ জানাই। তার বাণী যেন আমরা জীবন দিয়ে সফল করে তুলতে পারি।