🐠 একদিকে কমছে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু অন্য দিকে বাড়ছে এই জীবাণুটির নিজেকে বদলানোর হার। হালে এমনই জানালেন গবেষকরা।
🐻সম্প্রতি আমেরিকার Penn State University-র গবেষকরা ওমিক্রনের নিজেকে বদলে ফেলার অদ্ভুত এক উদাহরণ টের পেয়েছেন। এত দিন মনে করা হত, মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীর দেহে সেভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভব নয়। কিন্তু হালে তাই হচ্ছে।
কী জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা?
ౠকোভিড-১৯ ভাইরাসটি শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হতে পারে। এমনই বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। অন্য প্রাণীর মধ্যে অল্প পরিমাণে সংক্রমিত হলেও, সেটি অতিমারির আকার ধারণ করতে পারবে না। এমনটি বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
ꩵকিন্তু হালে দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রনকে এই তত্ত্বে আটকে রাখা যাচ্ছে না। ওমিক্রন এবার মানুষ ছাড়িয়ে অন্য প্রাণীর মধ্যেও অতিমারির সৃষ্টি করছে। আমেরিকার বেশ কিছু প্রদেশে White-tailed deer-এর মধ্যে এই রোগের মারাত্মক বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হরিণের এই বিশেষ জাতিটির ভিতর ইতিমধ্যেই অতিমারি সৃষ্টি করে ফেলেছে ওমিক্রন।
এতে মানুষের কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
🍎অনেকেই ভাবতে পারেন, হরিণের মধ্যে ওমিক্রন ছড়ালে মানুষের সমস্যা হবে কেন? কিন্তু Penn State University-র গবেষক বিবেক কাপুর নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রন বা করোনার কোনও রূপ যদি অন্য প্রাণীর দেহে সংক্রমণ ঘটায়, তাহলে সেটি মানুষের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
💖এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হল— অন্য প্রাণীর দেহে যাওয়া মানেই সেখানে আবার নিজের রূপ বদলাবে ভাইরাসটি। অর্থাৎ সেখানে মিউটেশন হবে। তৈরি হবে নতুন রূপ। সেই নতুন রূপের করোনা যদি আবার মানুষের শরীরে ফিরে আসে, তাহলে সেটি কেমন সংক্রমণ ঘটাবে, তার কোনও পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। সেটি ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।
꧟আপাতত বিষয়টির উপর নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। চেষ্টা করা হচ্ছে হরিণের এই বিশেষ সম্প্রদায়টির মধ্যেও যেন বেশি ছড়াতে না পারে এই জীবাণু— তেমন ব্যবস্থা নেওয়ার।