সন্ܫতানদের স্ন্যাকসের প্রতি আগ্রহ নিয়ে প্রত্যেক বাবা-মা উদ্বিগ্ন থাকেন। স্নেহের বশে বা কখনও সন্তানদের দাবি মেনে তাদের হাতে স্ন্যাকস তুলে দিলেও, তা যে স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারি বস্তু নয়, তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে বোঝেন। কিন্তু বাজারে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস মিলবে কোথায়?
তবে শুধু শিশুদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই বা লাভ কি? বড়রা অনেক সময় খিদে মেটাতে বাজার চলিত সুস্বাদু স্ন্যাকসই মুখে পুর💛ে দেন। তাতে পেটের খিদে মেটে বটে, তবে স্বাস্থ্য একেবারে দফারফা হয়।
২০২২ সালে দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারꦉতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতার হার ১৯৯০ সালের পর থেকে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৯.৮% এবং পুরুষদের জন্য ৫.৪% বেড়েছে। ২০২২ সালে ৭ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক স্থূল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানেꦦ ৪.৪ কোটি মহিলা এবং ২.৬ কোটি পুরুষ।
আরও পড়ুন। জিম থেকে বেরিয়েই🐻 এনার্জি ড্রিংক খান? 🃏যখন তখন হতে পারে হার্ট অ্যাটাক
দ্বিতীয়ত, ২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত একটি গুগলের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮৫% উত্তরদাতারা, এমনকি যারা স্বাস্থ্যকর খাবারকে অগ্রাধিকার দেন তারাও মাঝে মাঝে মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। মাঝে মাঝে মিষ্টি খাবার ইচ্ছা আবার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দুয়ের এই টানাপোড়েনকে ব্যাল্যা𓆏ন্স করে সমাধান খোঁজা বেশ চাপের।
সেই ব♚্যালান🙈্সকে বজায় রেখে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বাজারে আনল 'দ্য গ্রোয়িং জিরাফ'। সাধারণত স্বাস্থ্যকর জিনিস খেতে সুস্বাদু হয় না, তবে এ ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত।
কলকাতা ক্লাবে এই স্ন্যাকসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করল সংস্থাটি। উদ্বোধন উপলক্ষে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব, ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং চিকিৎসকরা। তাঁরা হলেন ড. অরুণা টান্তিয়া, ড. সিমরৎ কৌর, ড. অনন্যা ভৌমিক, বিনীত ব্যাপ্টিস্ট, শ🅰্রদ্ধা ফোগলা এবং পূজা দাশগুপ্ত।
কলকাতার মেয়ে, আইনজীবী রুক্মিণী ব্যꦓানার্জি তাঁর পেশাগত জীবন থেকে ছেড়ে তিনি 'দ্য গ্রোয়িং জিরাফ'-এর প্রতিষ্ঠাতা তৈরি🔯 করেছেন। যে ভাবনার পিছনে নিজের সন্তানের প্রতি ভালবাসা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দ্য গ্রোয়িং জিরাফ-এ স্ন্যাকসগুলি আমরা ভালবাসা দিয়ে তৈরি করি। রাগি, জোয়ার, ওটস এবং গুড়ের মতো উপাদান ব্যবহার করে এইগুলি বানানো হয়। আমরা♛ স্বাদের জন্য কৃত্রিম বস্তু, রঙ এবং প্রিজারভেটিভ এড়িয়ে চলি। কারণ আমরা সত্যিই আপনার শরীরে কী প্রবেশ করছে তা নিয়ে যত্নশীল। প্রতিটি কামড় একটি প্রতিশ্রুতি – পুষ্টি এবং আনন্দের প্রতিশ্রুতি।’ দাম নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।