অবশেষে প্রকাশ্যে আর ধূমপানে কোনও নিষেধাজ♈্ঞা থাকল না নিউজিল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়ার মত দেশগুলিতে। এই দুটি দেশের সরকার ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। সরকারি রাজস্বের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় সরকারগুলির কাছে। সꦍম্ভবত সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বদল মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউজিল্যান্ডের নতুন সরকার ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলা এবং সিগারেট বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য প্রাথমিকভাবে ১০০ দিনের মধ্যে নতুন আইন প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে মালয়েশিয়া সরকারও এমনই প্রস্তাব আনতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
যুব প্রজন্মকে ধুমপানের নেশা থেকে বের করে আনার জন্য এই পদক্ষেপটি নিয়েছিল এই দুই দেশের সরকার। মালয়েশিয়া সরকারও ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পরবর্তীতে বিলটির একটি সংশোধিত সংস্করণ পেশ করার বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। উভয় দেশেই ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তামাক জাতীয় দ্রব্য থেকে যে বিপুল রাজস্ব আদায় হয় সরকারের, সেখানেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছিল। এ সকল কারণেই এই দুই দেশের সরকার তাদের সিদ্ধান্ত বদল ꦿকরল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত নিষেধাজ্ঞার নিয়মটি নিউজিল্যান্ডে যখন লাগু হয়েছিল, ১৮ বছর বয়স হলেও কোন যুবক-যুবতী বৈধভাবে সিগারেট খেতে পারত না। নতুন প্রজন্মকে বৈধভাবে সিগারেট কেনা থেকে বিরত রেখে ধূমপানমুক্ত সমাজ গড়ার পরিকল্পনা করেছিল নিউজিল্যান্ড সরকার। সাধারণ মানুষের বহু ক্ষোভ থাকলেও সে সময়ে নিউজিল্যান্ডের সকল সংসদ সদস্য এই বিষয়ে সহমত ছিলেন। নতুন আইনটিতে সিগারেট কেনার একটি বয়স যুক্ত করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের পর জন্মানো কেউ বৈধভাবে সিগারেট কিনতে পারবে না। বর্তমানে জনরোꦦষ এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির দিকটি বিচার করে নিউজিল্যান্ড বিলের সংশোধিত সংস্করণ পেশ করবার জন্য বদ্ধপরিকর। এর ফলে একদিকে জনরোষ মিটলেও লাগাম টানা গেল না ধূমপানের নেশায়।