বয়স্কদের তো বটেই, শীতকালে অনেক কম বয়সিদেরও হাঁটুতে ব্যথা হয়। এর কারণ শীতে শরীর শুকিয়ে যায়। ফলে পেশির নমনীয়তা কমে। তাছাড়া হাড়ের সংযোগস্থꦓলগুলিও শক্ত হয়ে যায় এই সময়ে। ফলে সেখানে ব্যথা বাড়তে থাকে।
শীতে এই ধরনের 🦹ব্যথা বাড়লে কী করবেন? কীভাবে কমাবেন এই ব্যথা? কী বলছেন চিকিꦿৎসকরা?
শীতে হাঁটুর ব্যথা বাড়াবাড়ি জায়গায় গেলে, সেটি সমানোর সহজতম রাস🅰্তা হল RICE Therapy। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই বলছেন চিকিৎস🗹ক মোহিত কুকরেজা।
কী এই RICE Therapy?
RICE হল Rest, Ice, Compression, Elevation
হাঁটুর ব্যথায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। দরকার মতো বরফের সেঁক দিতে হবে। ব্যান্ডেজ বেঁধে রেখে সেঁক ꩵদিতে পারেন। আর বালিশের উপর হাঁটু উঁচু করে রাখতে হবে।
তবে মোহি🔯ত কুকরেজার মতে, কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে হাঁটুর ব্যথা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, সেই নিয়মগুলি কী কী।
- রোজ শরীরচর্চা করুন: ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাঁটুর ব্যথা কমে। কারণ অতিরিক্ত ওজনের চাপ অনেক সময়েই হাঁঠু নিতে পারে না। ফলে তাতে ব্যথা হয়। ওজন কম থাকলে হাঁঠুর ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এ জন্য রোজ কিছুটা এক্সারসাইজ করা উচিত। মনে রাখতে হবে, অতিমারির সময়ে বাইরে বেরোনো কমে গিয়েছে। তাই ওজনও বাড়ছে সহজেই। তার মধ্যে শীতে হাঁটুর নমনীয়তা কমেছে। এই দুই সমস্যাই কিছুটা প্রতিহত করা যায় শরীরচর্চা করলে। তাহলে হাঁটুও ভালো থাকবে।
- সেঁক দিন: কখনও ঠান্ডা কখনও গরম সেঁক দিন। ঠান্ডা সেঁকে ব্যথা কমবে। আাম হবে। আর গরম সেঁক হাঁঠুর আশপাশের পেশির নমনীয়তা বাড়াবে। তাতে হাঁটু সচল হবে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই দু’ধরনের সেঁকই দিন। তাতে হাঁটুর ব্যথা কমবে।
- মালিশ করুন: এটি খুব সচেতন ভাবে করতে হবে। মনে রাখবেন, বেশি চাপ দিয়ে মালিশ করলে হাঁটুর ক্ষতি হবে। তাই এমন ভাবে মালিশ করুন, যেটি হাঁঠুর জন্য ভালো। এবং যাতে শুধু রক্ত চলাচল বাড়ে। মালিশ করার আগে চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন, হাঁটুতে কতটা চাপ দেবেন।
- এপসম নুন ব্যবহার করুন: এই নুন ব্যথা কমাতে খুব কাজে লাগে। স্নানরে জলে এই নুন মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে দিন। তার পরে সেই জলে স্নান করুন। এতেও ব্যথা অনেকটা কমবে।