পশ্চিম বর্ধমানের জয়ন্ত মুদি পেশায় আচার বিক্রেতা। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে অদ্রিজা। বছ🌠র সাতেকের অদ্রিজা বিরল রোগ ‘গসার টাইপ ওয়ান’-এ আক্রান্ত। তিন বছর বয়সে এসে ধরা পড়ে এই রোগটি। টানা জ্বরে ভুগছিল অদ্রিজা। তখন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, এই অসুখের কথা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসি🌺ন্দা ইমতিয়াজপেশায় ভাগচাষি। তাঁর ছেলে ইমরানও এক বিরল অসুখে ভুগ꧟ছে। অসুখটির নাম ‘এমপিএস টাইপ ওয়ান’।
এভাবেই বেশ কয়েকটি গরিব পরিব🌺ারের সন্তানেরা বিরল অসুখে আক্রান্ত হয়ে বছরের পর বছর ঠিকঠাক চিকিৎসা পাচ্ছে না। অভিযোগ, সরকারি উদাসীনতায় এখনও চিকিৎসা পায়নি এই রোগীরা। অনেক আগেই রোগীদের পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আদালতের নির্দেশের পরেও বছর কেটে গিয়েছে। এখনও অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ।
আদালতের নির্দেশে এর আগেই ‘ন্যাশনাল রেয়ার ডিজিজ পলিসি ২০২১’-এর প্রেক্ষিতে এই ধরনের অসুখের জন্য কমিটি গঠন করে এসএসকেএম। কিন্তু গত এক বছর ধরে সেই কমিটির ভূমিকা নিয়ে💖ও প্রশ্ন তুলেছে রোগীর পরিবার। এর পরেই আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।
ജকলকাতা হাই কোর্টে W৩ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হয়। আদালত জ⛎ানায়, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। তার আগে সরকারকে বিনামূল্যে ওই রোগীদের চিকিৎসা শুরু করতে হবে। নাহলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
আদালতের এই রায়ের পরেই স্ಌবাস্থ্য ভবন নড়েচড়ে বসেছে। ওষুধ নিতে 🎉আসার কথা বলা হয়েছে রোগীদের পরিবারগুলিকে। যা পেয়ে খানিকটা আশ্বস্ত রোগীদের অভিভাবকেরা। তবে এখনও তাঁদের শঙ্কা যাচ্ছে না। চিকিৎসার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। এমনই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে।