༒ এখন অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ গোটা বিশ্বেই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালে মারাত্মক বেড়েছে এটি। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। এরই মধ্যেই আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু কিছু অংশে টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটি অদ্ভুত আচরণ চিন্তায় ফেলেছে অনেককেই। কারণ এতে অনেকেরই সম্মানহানী হচ্ছে। কারণ অনলাইনে কেনা জিনিস ডেলিভারি করতে আসা ব্যক্তিদের ক্যামেরার সামনে নাচতে বাধ্য করা হচ্ছে।
﷽সম্প্রতি আমেরিকার বেশ কিছু প্রান্ত থেকেই এই ধরনের খবর এসেছে। ইউরোপেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ইকমার্স ওয়েবসাইট, বিশেষ করে অ্যামাজন থেকে কেনা জিনিস যাঁরা বাড়িতে পৌঁছে দিতে আসছেন, তাঁদের সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে নাচতে বলা হচ্ছে। যাঁর জিনিস, তাঁকে এই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে না। তিনি বাড়ির ভিতর থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন, জিনিসটি নামিয়ে রাখার সময়ে যেন ওই ব্যক্তি বাড়ির ভিতরে থাকা ব্যক্তির ইচ্ছামতো নাচেন। সেই ভিডিয়ো রেকর্ড হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। পরে সেই ভিডিয়োটি তুলে দেওয়া হচ্ছে টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায়।
🌄এক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে কেন ডেলিভারি করতে আসা ব্যক্তি নাচবেন?
꧟দেখা গিয়েছে, যাঁরা জিনিস পৌঁছে দিতে আসছেন, তাঁরা নাচতে বাধ্য হচ্ছেন খারাপ রিভিউয়ের ভয়ে। বাড়ির মালিকের বা ক্যামেরার পিছনে থাকা মানুষটির কথা অনুযায়ী না নাচলে, তাঁদের খারাপ রিভিউ দেওয়া হচ্ছে। চাকরি হারানোর ভয়েই তাই নাচতে বাধ্য হচ্ছেন এই ব্যক্তিরা।
ꦉইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এর সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, নাচতে বাধ্য করার ফলে দৃশ্যগুলি খুবই অস্বস্তিকর হচ্ছে। এমনকী কেউ কেউ জোর করে চেষ্টা করছেন, নাজার সময়ে হাসিমুখ ধরে রাখতে। কিন্তু তাতেও ওই সব মানুষের অস্বস্তি চাপা থাকছে না। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পাকপাকি ভাবে কোনও আইন তৈরি হয়নি।